।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
নিরাপদ উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎস হলো মিষ্টি কুমড়া। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ এ কুমড়ার বীজের মধ্যেও রয়েছে অনেক গুণাগুণ। ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস কপার, ভিটামিন ই, আয়রন, ফাইবার ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চোখের জন্য ভীষণ উপকারী এ উদ্ভিজ্জ উপাদানটি। তাই শরীরের জন্য এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদান খাদ্যতালিকায় যোগ করে এর উপকারিতা পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে যে উপকারিতা পাওয়া যাবেঃ-
★ ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের পাশাপাশি হাড়ের সমস্যা দূরীকরণে বেশ কার্যকরী কুমড়ার বীজ। তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজকে অবহেলা না করে নিয়মিত খাওয়া দরকার। এছাড়া বাতের সমস্যা নিরাময়ে দারুণ কাজ করে কুমড়ার বীজ।
★ কুমড়ার বীজে থাকা পটাসিয়াম ও ফাইবার দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সেই সঙ্গে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
★ শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা করে তোলার পাশাপাশি দেহের অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে, মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন নিঃসৃত করতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। এছাড়াও অ্যামিনো এসিডসম্পন্ন কুমড়ার বীজ খেয়ে অনিদ্রার সমস্যা দূর করা সম্ভব।
★ চুল উজ্জ্বল, ঘনসহ চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে উপকারী একটি উপাদান হিসেবে কাজ করে কুমড়ার বীজ। কারণ কুমড়ার বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসহ বিভিন্ন উপাদান চুলের জন্য বেশ উপকারী।
★ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট রোগ মোকাবিলা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ। তাই এ উপাদানটিকে দৈনিক খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন।