।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
দেহের আমিষের চাহিদা পূরণে অন্যতম একটি উপাদান হিসেবে দারুণ কার্যকরী হলো ডাল। উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন- মসুর, মুগ, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি সবকিছুতেই আমিষ পাওয়া যায়। এছাড়া কাঁঠালের বিচি ও শিমের বীজের মতো অন্যান্য বীজের মধ্যেও আমিষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তাই মাছ-মাংসের তুলনায় দামে কম ও সারা বছরে পাওয়া এই উদ্ভিজ্জ আমিষের উপাদান খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেহের আমিষের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
আজিমপুর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খানের পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
জেনে নিন অ্যামিনো অ্যাসিড ও সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে করণীয়
সঠিক পুষ্টি ও অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি মেটাতে উদ্ভিজ্জ আমিষের সঙ্গে শস্যের মিশ্রণ করে খাবার খাওয়া অনেক উপকারী। যেমন- খিচুড়ি ও হালিম। কারণ উদ্ভিজ্জ আমিষ ডালে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সব কটি অ্যামিনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ হয় না। অনুরূপভাবে শস্যের সাথে উদ্ভিজ্জ উৎস দ্বিতীয় শ্রেণির আমিষের মিশ্রণ ঘটিয়ে অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়। যা এর ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ করে থাকে।
পুষ্টির পাশাপাশি খাবারের স্বাদ বাড়াতে যা করতে হবেঃ-
★ ঠিকঠাক বা সম্যক পরিমাণে আমিষ পেতে পাতলা বা ঘন ডালের পরিবর্তে মাঝারি ঘনত্বের ডাল খাওয়া উচিত
★ খাদ্যে স্বাদের ভিন্নতা ও পুষ্টি পাওয়ার জন্য শাক কিংবা সবজির সাথে ডাল রান্না করা যেতে পারে। এমনকি ডালের বড়াও খাওয়া বেশ ভালো
★ ডাল বা ছোলা অঙ্কুরিত করার জন্য ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রেখে রান্নার পাশাপাশি কিছুটা কাঁচাও খাওয়া উপকারী। কেননা, এতে পর্যাপ্ত আমিষের পুষ্টি এমনকি ভিটামিন সি-ও পাওয়া যায়
স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে যা মানা জরুরী
অনেকের ডাল খেলে অ্যাসিডিটির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তাই ডাল রান্নার আগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কম হয়। আবার অ্যাসিডিটি না হওয়ার জন্য মসুর ডালের পরিবর্তে মুগের ডাল খাওয়া উচিত। খেসারির ডালের কিছু খারাপ দিক থাকে তাই এ ডালকে পরিমিত রেখে মাসে এক কি দু্ইবার খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কিডনির রোগ বা ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যা থেকে থাকলে ডাল বা বীজজাতীয় খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।