।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে ধামশ্রেণী ইউনিয়নের চৌমহনী বাজারের সরকারি স্থাপনা অবৈধভাবে দখল করে টং ঘর তুলেছেন শফিকুল নামে এক লন্ড্রি ব্যবসায়ী । এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৫ ফেব্রয়ারি) রাত ২টায়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম- চিলমারী ডিসি-৫০ এবং উলিপুর-বাগুয়া অনন্তপুর ডিসি-২০ রাস্তার কেন্দ্রস্থলে এবং উপজেলার ধামশ্রেণী, হাতিয়া ও ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের সীমানায় চৌমহনী বাজারটি অবস্থিত। বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সাবেক এমপি মরহুম মাঈদুল ইসলাম, হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলীর মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, পথচারী এবং বাজারে আসা মানুষজনের বসার জন্য জায়গাটি সরকারি প্রকল্পের অর্থায়নে ইট দিয়ে মুক্তমঞ্চ হিসেবে বাঁধাই করে দেন এবং একটি চারা গাছ রোপণ করেন। বাজারের অন্যান্য জায়গা অস্থায়ীভাবে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিজ দিলেও মুক্তমঞ্চের জায়গাটি কাউকে লিজ দেয়া হয়নি। সেই সময় হতে এখন পর্যন্ত দখলকৃত স্থাপনায় পথচারী, বাজারে আসা-যাওয়া মানুষরা বসে বিশ্রাম নেন। সেই সাথে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, সভা ও মিটিংসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে আসছে।
বাজারের পান ব্যবসায়ী মহুবর মিয়া বলেন, ওই রাতে আমি ১২টার পর বাড়ি চলে যাই। পরের দিন এসে দেখি মানুষজনের বসার জায়গাটিতে ঘর তুলেছে।
বাজারের পাহারাদার আয়নাল হক বলেন, রাত ২টার সময় আমার বাধা উপেক্ষা করে শফিকুলসহ কয়েকজন লোক এই জায়গায় একটি দোকান ঘর তুলেছেন।
হাতিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, সাবেক এমপির মাঈদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে পথচারী ও বাজারের আসা মানুষজনের বসার জন্য এই জায়গাটি ইট দিয়ে বাঁধাই করে দেয়া এবং একটি গাছের চারা রোপণ করা হয়। গাছটি এখন বড় হয়েছে। গাছের ছায়ায় মানুষজন বসে এবং বাজারের সভা মিটিং বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে আসছে। আজ এই জায়গাটি বেদখল হলে বাজারে আর কোথায় মানুষজন বসার বা মিটিং সালিশসহ অনুষ্ঠান করার জায়গা পাবে না। জায়গাটি উম্মুক্ত রাখার জন্য আমি প্রশাসনের নিকট আবেদন জানাই।
স্থানীরা বলেন, অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে বাজারের একটি ফাঁকা জায়গা বেদখল করে রেখেছেন আবার নতুন করে সরকারি স্থাপনা বেদখল করেন। বাজারের সরকারি স্থাপনা যেভাবে বেদখল করেছে এখানে হাট ইজাদারের যোগসাজশে ছাড়া সম্ভব না।
অবৈধ দখলদার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি সরকারি স্থাপনার উপর টং ঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলব।
এ বিষয়ে উলিপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, স্থাপনার উপর টং ঘরের মালিক শফিকুল ইসলামকে ঘর সরানোর জন্য বলা হয়েছে। যদি সে ঘর না সরিয়ে ফেলে তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারকে জানানো হবে। পরে বুলড্রেজার দিয়ে ঘর ভেঙ্গে দেয়া হবে।