।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজারে এক নারী এনজিও কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শোবার ঘর থেকে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম শেফালী বেগম (৩২)। তার বাড়ি জেলার উলিপুরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন জনৈক কাজলের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।
তিনি শহরের ত্রিমোহণী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
নিহতের সহকর্মী ফিল্ডকর্মী সাথী জানান, আমি অসুস্থজনিত কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে শেফালী আপার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি আমাকে বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলার পর তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ হয়নি না। আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাড়ি এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পরে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে তারা দরজা খুলে তাকে আধবসা অবস্থায় গলায় ও জানালার গ্রিলের সাথে দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শী তাসলিম ও সাইদুর জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। দরজা কিছুটা ভেজানো অবস্থায় ছিল। দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসেনি। আমরা ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করে আসতে চাইলেও এখন ফোন বন্ধ করে দিয়েছে মেয়েটির স্বামী।
বাড়ির মালিক কাজলের ছোট ভাই বাদল জানান, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি ভাড়া নেয়। তারা দুজনে এনজিওতে চাকুরী করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান নানা বাড়িতে থাকে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহের সুরৎহাল শেষে থানায় নেয়া হবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।