।। নিউজ ডেস্ক ।।
১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম প্রশস্ত বনভূমি সুন্দরবন দিবস আজ। পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ হিসেবে পরিচিত এ বনের ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে এবং বাকি ৩৮ শতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর পালিত হওয়া সুন্দরবন দিবস এবার ২৩তম দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
২০০১ সালের এই দিনে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের অন্যান্য পরিবেশবাদী ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও বরগুনা জেলা বেষ্টিত ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনে গঠিত সুন্দরবনে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার পৃথিবী বিখ্যাত। এছাড়াও চিত্রা ও মায়া হরিণ রয়েছে এই সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমিতে।
জানা গেছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসকারী চোরা শিকারি ও কাঠ পাচারকারীদের কবলে পড়ে আসতে আসতে সুন্দরবনের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে। প্রতিনিয়ত বনখেকোদের আগ্রাসনের ফলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ হুমকির মুখে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশের পরিবেশ।
তাই আমাদের এই ধ্বংসের মুখোমুখি থেকে নিজেদের ফিরিয়ে আনতে সুন্দরবন দিবস স্মরণ করিয়ে দেয় সবারই প্রাণ আছে। একই সাথে স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব কেবল কল্পনা মাত্র, বরং প্রকৃতির সান্নিধ্যেই জীবন ফিরে পায় নতুন রূপ। তাই প্রতিবছর সুন্দরবন দিবস পালনে আমাদের অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করা জরুরী।