।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারী ‘যাত্রামঞ্চে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান’ বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ইমান আলী। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
স্থানীয় সাংবাদিক মতিয়ার রহমান চিশতীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাংবাদিক এসএম সাদিক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, শওকত আলী, মাসুদ পারভেজ রুবেল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, সুজন মাহমুদ, ইয়াছির আরাফাত নাহিদ, মাসুদ রানা, শহিদুল্লাহ কায়সার লেবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক প্রত্রিকায় ‘যাত্রামঞ্চে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে হাট-বাজারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্যালয়ে ডাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে ‘দৈনিক বাংলার রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ তার বাবা-মায়ের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চেয়ারম্যান। তার এমন আচরণে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের নামে মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিসহ অশালীন মন্তব্য করেন তিনি। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রৌমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক মাসুদ রানা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এই বিষয়ে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে হাজারও মানববন্ধন করলেও কোনো লাভ হবে না।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এতে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
//নিউজ/রৌমারীতে//সুজন-মাহমুদ/ফেব্রুয়ারি/১৩/২৪