।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমানে কমবেশি প্রায় মানুষই বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এটি আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে নিত্যকার সমস্যাগুলির অন্যতম একটি। সাধারণত নিয়মহীন খাদ্যাভাসের পাশাপাশি মসলাদার কিংবা মাত্রাতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে হানা দিয়ে বসে বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা। এর প্রভাবে পেট ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাবসহ গলায় টকটক লাগা ইত্যাদি অনুভূতির লক্ষণীয় মাত্রা বেড়ে গিয়ে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় আমাদের।
বুকে জ্বালাপোড়ার ব্যাপারে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমাদের পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালীতে পৌঁছানোর পর টিউবটি মুখ থেকে পাকস্থলীতে খাদ্য বহন করলে অ্যাসিডিটি হয়। যার ফলে বুকে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক বুকে জ্বালাপোড়া প্রতিরোধের কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ-
আদা: বুকে জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যা দূরীকরণে আদা বেশ কার্যকরী। তাই বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে বাঁচতে আদা বা আদা চা করে খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
খাবার চিবিয়ে খাওয়া: তাড়াহুড়া করে খাবার গ্রহণ করা একেবারেই উচিত নয়, কেননা দ্রুত খাবার খাওয়ার মধ্যদিয়ে পেটে হজমের সমস্যা দেখা দেয়ার পাশাপাশি শুরু হয় অ্যাসিডিটি এবং এর থেকে দেখা দেয় বুকে জ্বালাপোড়া। যে কারণে আমাদের খাদ্যাভাসে আনতে হবে সঠিক নিয়ম ও খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস। একই সাথে রাতের খাবারে অনিয়ম না রেখে ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা পূর্বে খাবার খেতে হবে।
টক জাতীয় ফল কম খাওয়া: বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ভুগে থাকা ব্যক্তিদের টক বা সাইট্রাস জাতীয় ফল না খাওয়াই শ্রেয়। যদিও এ জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণাগুণ, তবে এর প্রভাবে হতে পারে অ্যাসিডিটি। পাশাপাশি চকোলেটকেও না করতে হবে। তাই এ ধরণের খাবারের পরিবর্তে সুষম খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করতে হবে।
ধূমপান পরিহার করুন: বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ধূমপানকে একেবারেই না করুন। কারণ ধূমপানের প্রভাবে শরীরে নানাবিধ অসুখ তীব্র আকার ধারণ করে। এমনকি জীবন সংশয়ের মত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। তাই সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য ধূমপান পরিহার করে চলতে হবে।
বেকিং সোডা মেশানো পানি: বেকিং সোডা মেশানো পানি বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। দৈনিক সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা মেশানো পানি পান করলে বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকাংশে সম্ভব।