।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
লেগিউম জাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম হলো মটরশুঁটি (Beans)। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই মৌসুমেই দেখা মেলে মটরশুঁটির। এটি বেশ সুস্বাদু। আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত এ উদ্ভিদটিকে সবজি ও রান্নায় ব্যবহার করার পাশাপাশি পোলাও, খিচুড়িসহ নুডলস ও পাস্তা তৈরিতে মটরশুঁটি ব্যবহার করা হয়। তবে এই জনপ্রিয় উদ্ভিদটি কেবল সুস্বাদুই নয়, বিশেষ পুষ্টিগুণে ভরপুর মটরশুঁটিতে রয়েছে অনেক উপকারিতা, যা আমাদের অনেকেরই অজানা।
আমিষসমৃদ্ধ সবজি মটরশুঁটিতে অন্যান্য সবজির তুলনায় বেশি মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ই, কে, ফলিক এসিড, আয়রনসহ জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় মটরশুঁটিতে।
চলুন জেনে নেয়া যাক মটরশুঁটির কিছু উপকারিতাঃ-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: মটরশুঁটিতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ই এবং জিঙ্কের মতো বিশেষ উপাদান। শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবং হজমক্ষমতা বাড়াতে মটরশুঁটি দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি রোধে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরণের অসুখ থেকে বাঁচতে মটরশুঁটি খাওয়ার বিকল্প নেই।
প্রোটিনের চাহিদা পূরণ: প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মটরশুঁটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। কেননা পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক বাটি মটরশুঁটি খেলে তা ২ টুকরা মাছ বা মাংসের সমপরিমাণ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন মেলে এই শস্যদানায়। তাই নিয়মিত মটরশুঁটি খাদ্যতালিকায় অন্তর্গত করাটা জরুরী।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে নানাবিধ অসুখ দেখা দেয় শরীরে। মটরশুঁটিতে থাকা উচ্চমাত্রায় ফাইবার ও প্রোটিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকরী। এছাড়াও একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে প্রোটিন সম্পন্ন খাবার উপকারী। তাই শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়া প্রয়োজন।