।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডসহ অনেক কিছুর লক্ষণ প্রকাশ পায়। আবার গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যাভাসের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সক্রিয়তার মাত্রা অনাগত সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাই এ সময় সতর্ক থাকতে হয় অনেক বেশি। প্রয়োজন হলে গর্ভবতীকে সুখী থাকতে এবং হতাশাগ্রস্ত না হতে সুচিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
গর্ভবতী নারীর চিকিৎসা পরামর্শের ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশন ফর সাইকোলজিকাল সায়েন্স দ্বারা পরিচালিত গবেষণার ইঙ্গিতে জানা যায়, গর্ভবতী মায়ের আবেগ ছয় মাস বা তার বেশি বয়সী ভ্রূণের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনি কী রকম অনুভব করছেন, তা বাচ্চার বড় হওয়ার সাথে সাথে মনোভাব এবং জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
চলুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়ঃ-
গর্ভবতী মায়েদের নির্দিষ্ট সময়ে অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদার প্রবণতা লক্ষণীয়, তবে গর্ভবতী থাকাকালীন একজন নারীর বেশি না কাঁদাই উচিত। কেননা এতে ভ্রূণের ওপর ব্যাপক পরিমাণে প্রভাব পড়ে যা সন্তানের জন্য খারাপের থেকে কোন অংশে কম নয়। এছাড়াও স্ট্রেস, হরমোন ওঠানামা, জামাকাপড়ের মাপ, আবেগপূর্ণ ফিল্ম দেখা, গর্ভাবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য, প্রসারণ চিহ্ন, অস্বস্তিকর লাগাসহ গর্ভাবস্থার মাইলফলক ও প্রসবের তারিখ পেরিয়ে যাওয়া ইত্যাদি চিন্তার অনুভূতি গর্ভবতীদের বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।
গর্ভাবস্থায় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরীঃ-
★ গর্ভাবস্থায় স্ট্রেস হওয়া স্বাভাবিক, তবে অনবরত স্ট্রেস নিয়ে অধিক চিন্তা করা উচিত নয়। তাই গর্ভাবস্থায় স্ট্রেসের ঘটনাগুলো নির্মূলে বিশেষ নজর দিতে হবে গর্ভবতী মায়েদের
★ এ সময়ে হতাশাগ্রস্ত থাকা একদম উচিত নয়, সেক্ষেত্রে সঙ্গী, বন্ধু বা কোনো পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলে হতাশা এবং স্ট্রেস দূর করতে হবে
★ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে গর্ভাবস্থাকালীন সঠিক গাইড লাইন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তা অনুসরণ করতে হবে
★ হতাশা বা স্ট্রেসের সময় অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস ওষুধ রয়েছে যা গর্ভবতীর জন্য নির্ধারিত করে দিতে পারেন চিকিৎসক
★ নিয়মিত বিরতিতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
★ গর্ভবস্থাকালীন সব রকমের নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও আবেগ থেকে দূরে থাকতে হবে
★ প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্রাম ও সঠিক নিয়মে ঘুমাতে হবে
★ দৈনিক কাজকর্মে ভারী ও কঠিন কাজ করা যাবে না
★ ক্লান্তি দূর করতে গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা ক্রমানুসারে করার চেষ্টা করতে হবে
★ সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় সর্বদা মানসিক সুস্থতা থাকার চেষ্টা করতে হবে একজন গর্ভবতীকে