।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
জন্মের পর নবজাতক শিশু বা তৎপরবর্তী বয়সী শিশুদের পেটে গ্যাসের সমস্যা যেকোনো সময়েই হতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশুর পেটে বাতাস প্রবেশের পাশাপাশি হরমোনজনিত বা ইনফ্যান্টাইল কোলিক, পাকস্থলীর গঠন, হজমশক্তি কম, বাজারজাত ফর্মুলাসহ ফিডারে দুধ খাওয়া শিশুদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যার প্রবণতা বেশি থাকে। এছাড়াও অপরিণত পরিপাকতন্ত্র খাদ্যের বিপাকক্রিয়ায় উপজাত হিসেবেও শিশুর গ্যাস হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আর এ রকম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে থেকে অভিভাবকদের ঘুমের ব্যাঘাতের পাশাপাশি তৈরি হয় নানান দুশ্চিন্তার কারণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফারাহ দোলার পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর পেটে গ্যাস হলেঃ-
কিভাবে বুঝবেন?
স্বাভাবিকভাবে শিশুর পেটে গ্যাস হলে পেট ফুলে যাবে, শক্ত হবে এবং পেট ফাঁপানো অনুভব হবে। একই সাথে অতিরিক্ত বায়ু ত্যাগ, পেটব্যথা, বেশি মাত্রায় কান্না করা, পা কুঁচকে পেটের কাছে নিয়ে যাওয়াসহ অস্থির ও খিটখিটে ভাবের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
পেটের গ্যাস প্রতিরোধের কিছু ঘরোয়া উপায়
★ উপরোক্ত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই শিশুর ঢেকুর তোলা অন্যন্ত জরুরী। তাই সতর্ক থেকে শিশুকে কোলে নিয়ে ঢেকুর তোলার চেষ্টা করতে হবে
★ পাকস্থলির বাতাস বের করতে শিশুকে কোলে বসিয়ে থুতনি ও বুক হাত দিয়ে আরামদায়কভাবে ধরে পিঠে হালকা চাপ দিতে হবে
★ পেটে গ্যাস জমে থাকলে শিশুকে চিত করে শোয়ানোর পর পেটে হালকা করে চাপ দিয়ে সাইকেল চালানোর মতো করে শিশুর পা নড়াচড়া করতে হবে
★ তারপরেও যদি স্বাভাবিক সাফল্য না পাওয়া যায়, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত
করণীয়
★ শিশুকে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবস্থান ও সংযুক্তির দিকে বিশেষ খেয়াল রেখে সঠিক পদ্ধতিতে দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন
★ শুয়ে দুধ না খাওয়ানোর পাশাপাশি শিশুর মাথা একটু উঁচু জায়গায় রেখে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
★ শিশুকে বাজারজাত ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়
★ শিশুকে ফিডারে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখতে হবে
★ শিশুকে দুধ খাওয়ার পরপরই সোজা করে কাঁধে নিয়ে অন্তত ৫ মিনিট পিঠে হাত দিয়ে চাপড়ানো ভালো
★ মায়ের গ্যাস হয়, এ রকম খাবার পরিহার করে চলা দরকার। এতে শিশুর গ্যাস হওয়ার শঙ্কা কম থাকে