।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মানবদেহের প্রায় ১০০ বিলিয়ন কোষে তৈরি মস্তিষ্কের গুরুত্ব ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব শুধু কল্পনা মাত্র। একই সাথে আমাদের স্মৃতি, অনুভূতি এবং চিন্তা নিয়ন্ত্রণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মস্তিষ্ক। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হানা দিয়ে বসে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও আলঝেইমার মতো রোগের অনুভূতি। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অজান্তেই এমনি কিছু কাজ করা হয়, যার প্রভাবে অকালেই হতে পারে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি। জেনে নেয়া যাক যেসব কাজে মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
অপুষ্টিকর খাবার: লোভনীয় ও আকার্ষণীয় খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, লবণ, চর্বি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করে ফেলি। এসব খাবার গ্রহণে আলঝেইমার ও পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই এসব খাবারের পরিবর্তে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা জরুরী এবং সেই সাথে সকালের নাশতা কখনোই বাদ দেয়া যাবে না।
পর্যাপ্ত পানি পানের অভাব: আমরা অনেকেই দৈনিক পানির চাহিদা পূরণ করি না বা কম পানি পান করি। এ ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ প্রভাবিত হতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাটা শ্রেয়।
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: বর্তমানে একটি বড় অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে যে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা। তবে গবেষণায় জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে। তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, হাঁটাচলা ও সপ্তাহে ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অপর্যাপ্ত ঘুম: সুস্থ জীবিকা নিবারণের সাথে ভালো ঘুমের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব সর্বদা লক্ষণীয়। অনুরূপভাবে পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি দৈনিক কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
অতিরিক্ত গ্যাজেট আসক্তি: বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় পার করে মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আর মস্তিষ্ক অস্বাভাবিক হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো অতিরিক্ত গ্যাজেট আসক্তি। তাই সকলেরই স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনাটা অত্যাবশ্যক।
জোরে গান শোনা: অতিরিক্ত জোরে গান শোনা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ। দীর্ঘমেয়াদে জোরে গান শুনার ফলে মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে। আবার শ্রবণশক্তি হ্রাসের পেছনেও উচ্চ শব্দ জড়িত থাকে। তাই এই অভ্যাস পরিহার করে চলতে হবে।