।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা সাথে বইছে হিমেল হাওয়া তবুও থেমে নেই চিলমারীর কৃষকেরা। শীত, বন্যা, খরার সঙ্গের প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করতে হয় এই অঞ্চলের কৃষকদের। শত বাধার পড়েও তারা নেমে পড়েন মাঠে, বুনেন ফসল। এ বছরেও চলমার শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত চিলমারীর কৃষকেরা।
উপজেলার পেদিখাওয়া বিল, রমনা, মাছাবান্দা, হরিণের বিলসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে চিলমারীর অধিকাংশ কৃষকেরা নেমে পড়েছে মাঠে, বুনতে শুরু করেছে বোরোর চারা। আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তোলা শেষে কনকনে বাতাস আর হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করেই উপজেলার বোরো চাষিরা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে থানাহাট পেদিখাওয়া বিল এলাকার চাষি মহিজল হক বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়লেও ভালো ফলন পেতে বোরোর চারা রোপণ করতে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। কারণ একটু আগাম থাকতে বোরো ধানের চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়। তেমনি ক্ষেতে রোগ-বালাই হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তেল ও সার সংকট নিয়ে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তেল ও সারের দাম বৃদ্ধি সাথে কৃষকদের ধান উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় পেদিখাওয়া বিলের বোরোর মাঠে কাজ করা ফরিদুল, আলম, বাবলু, রেজাউলসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, পেট তো আর মানে না, চুক্তিভিত্তিক কাজ করি, তাই যতই শীত পড়ুক কাজ করাই লাগবে। এতে করে ৪শত থেকে ৫শত টাকার মতো দিন মজুরি পড়ে। এ সময় তারা আরও বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম চলা খুবই মুশকিল হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। তবে ইতিমধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। কিন্তু চাষিরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে বোরো চাষ করবেন বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষান দাস বলেন, চলতি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ বছর উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আমনের মতোই উপজেলায় বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/জানুয়ারি/২২/২৪