।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে ২ দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশার দাপট না থাকলেও তীব্র ঠান্ডায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও নদ-নদীর তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো। অপর দিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।
শীতের সাথে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় জবুথুবু হয়ে পড়েছে গোটা জনপদ। তীব্র ঠান্ডার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, জেলায় শৈত্যপ্রবাহ থাকলে সব স্কুল বন্ধ থাকবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্কুল খুলবে। এরকম একটি চিঠি জেলার ৯ উপজেলায় দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আমরা প্রতিদিন সকাল ৯টার মধ্যে তাপমাত্রার খোঁজ খবর রাখছি।
জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকেরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আপাতত কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে যদি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তারপরেও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।