।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শিশুর বেড়ে ওঠার পাশাপাশি শিশুর বিকাশের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে অভিভাবকদের। কেননা, অনেক শিশুই গায়েগতরে বেড়ে উঠলেও বয়সের তুলনায় বসতে না পারা, দাঁড়াতে বা হাঁটা-চলা করতে না পারা এমনকি মুখে আধো আধো বুলি বা বাক্য গড়তেও ঠিকমতো পারে না। আর তাই অনেক অভিভাবকগণ শিশুর এ রকম অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আদর্শ অভিভাবক হিসেবে শিশুর বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ এমনি কিছু ধাপ রয়েছে যা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর ধাপ অনুযায়ী বিকাশের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালট্যান্ট তাসনুভা খান বলেন, তিন থেকে সাড়ে চার মাস বয়সের মধ্যে শিশু নিজের ঘাড়ের নিয়ন্ত্রণ পায়, যেটিকে আমরা সাধারণভাবে শিশুর ঘাড় শক্ত হওয়া বলে থাকি। অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। সেটিও সর্বোচ্চ পাঁচ মাস। ছয় মাস বয়সের মধ্যে শিশুর বসতে পারার কথা; একটু দেরি হলেও সর্বোচ্চ আট মাসের মধ্যে শিশু বসতে পারবে। এক বছর বয়সী শিশু কোনো কিছু ধরে দাঁড়াতে পারে এবং দু-এক পা এগোতেই পারে; দেরি হলেও এইটুকু পারার জন্য সর্বোচ্চ ১৪ মাস লাগাটা স্বাভাবিক।
শিশুরা সাধারণত ছয় থেকে সাত মাস বয়সের মধ্যে হাতের তালুর সাহায্যে কোনো জিনিস ধরতে পারে। ছোট জিনিস ধরতে অবশ্য ১০ থেকে ১১ মাস লেগে যায়। ১৮ মাস বয়সে আঁকিবুঁকি করতে পারে শিশু। এছাড়া অন্যের সঙ্গে আচরণের এক বড় ধাপ হলো কথোপকথন। এর বাইরেও কিন্তু শিশুর বিকাশের আরও কিছু বিষয় আছে, যেগুলোর জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অভিভাবকদের।
চলুন জেনে নেয়া যাক শিশু ঠিকভাবে বাড়ছে কি না তা বুঝার উপায়ঃ-
★ তিন মাস বয়সী শিশুর নাগালের কাছে যেমন, চোখের সামনে কোনকিছু রেখে শিশু চোখে দেখতে বা অনুসরণ করতে পারে কি না তা জানা যায়।
★ শিশু শব্দের উৎসকে চিহ্নিত করতে পারে কি না বোঝার জন্য শিশুকে ঝুনঝুনি বা শব্দ করে এমন কিছুর শব্দ শুনিয়ে চোখ দেখার মাধ্যমে তা অনুভব করা যাবে।
★ সাধারণত এক বছর বয়সী শিশুরা পরিবারের সদস্যদেরকে চিনতে পারে এবং অপরিচিত মানুষকে দেখলে কান্না করাটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
★ কথোপকথনের ক্ষেত্রে একেবারেই কথা বলে না কিংবা অস্বাভাবিকভাবে কথা বলে এমন শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও শিশুর অস্বাভাবিক আচরণগুলির মধ্যে যেমন, হিংস্র, রাগ, বা অন্য কোনো লক্ষণ দেখা মাত্রই শিশুকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।