।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বায়ু দূষণের প্রভাবে শুধু যে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা নয়, জনজীবনেরও ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। বিশ্বের অন্যতম দূষিত নগরীগুলোতে সাধারণত রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। আর তাই সর্বত্রই শিশু-কিশোরদের মাঝে দূষণজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন স্নায়ুর সমস্যা আসছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ADHD (hyperactive impulsive)। বর্তমানে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগে মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
দূষিত বায়ু থেকে সৃষ্ট শিশুর নানান সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফারাহ দোলা পরামর্শ দিয়েছেনঃ-
চলুন জেনে নেয়া যাক দূষিত বায়ুর প্রভাবে শিশুর যা যা ক্ষতি হয়ঃ-
★ দূষিত বায়ুর প্রভাবে শিশুরা ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না।
★ ফুসফুসের মধ্যে থাকা সারফেকট্যান্ট নামের তরল পদার্থ দূষিত বায়ুর প্রভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়তে হয়।
★ শিশুদের প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে যে কারণে বায়ুদূষণের মাধ্যমে সহজেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
★ বেড়ে ওঠা শিশুদের দূষিত বাতাসের কারণে শাসতন্ত্রের প্রদাহ যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিসসহ অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
★ বায়ুদূষণ সময়ের আগে কম ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুদের ব্যাপক ক্ষতি করে।
★ শিশুর মধ্যে অস্থিরতা, ঘুম কম হওয়া, খিটখিটে স্বভাব ও শিশুর বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্তেও বায়ুদূষণ বিশেষভাবে দায়ী।
★ বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার, দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যাথা, হৃদ্যন্ত্র, চোখ, ত্বক, কিডনি ও প্রজননক্ষমতা ব্যাহত হয়।
তবে বায়ুদূষণের কবল থেকে বাঁচতে শুধু মাস্কের ব্যবহার নয়, দূষণ ঠেকাতে বেশি বেশি বৃক্ষরোপন করতে হবে এবং শিশুকে দূষণ মুক্ত পরিবেশের মধ্যে রেখে শিশুর জীবিকা নির্বাহ করতে হবে।