।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীতকাল হৃদরোগীদের জন্য খুব একটা সুখজনক সময় নয়। কেননা প্রতিবছর শীতকালে হৃদ্রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধি পেতে থাকে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা, হার্ট অ্যাটাকসহ এনজিনা পেকটোরিস, এট্রিয়াল, ভেন্ট্রিকুলার এরিদমিয়া ও মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। এছাড়াও গবেষণায় প্রমাণিত যে, শীতের প্রকোপে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থকে। যার মূলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক (কার্ডিওলজি) অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান বাবু বলেন, ঠান্ডা আবহাওয়া, বিশেষত যখন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে, তখন দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে মানবদেহের বিপাক বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদযন্ত্রের কাজ বৃদ্ধি পায়, যা আপনার হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাছাড়া ঠান্ডায় রক্তনালি সংকুচিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিছু পরোক্ষ কারণও হৃদরোগের আশঙ্কা ও জটিলতা বৃদ্ধি করে। যেমন- ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশি, ঘরে অবস্থান ও কম কায়িক শ্রম, অধিক ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি।
চলুন জেনে নেয়া যাক হৃদরোগীদের যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরীঃ-
★ যেসব খাবার খেলে কোলেস্টেরল বা রক্তচাপ বেড়ে যায়, যেসব খাবার গ্রহণ করা থেকে হৃদরোগীদের বিরত থাকতে হবে।
★ নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে হবে।
★ শীত থেকে বাঁচতে তাপমাত্রা বুঝে গরম কাপড় পড়তে হবে।
★ শীতকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীদের নিয়মিত গোসল না করে একদিন পর পর গোসল করতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করা ভালো।
★ চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।
★ শীতকালে হৃদরোগীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।