।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমানে ত্বকের জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো লেজার। ‘লেজার’ একটি ইংরেজি শব্দ, এর অর্থ বেশ জটিল। সাধারণত ‘লাইট অ্যাম্প্লিফিকেশন বাই দ্যা স্টিমুলেটেড এমিশন অব রেডিয়েশন’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ পায় লেজার শব্দটির দ্বারা। বর্তমানে ত্বকের চিকিৎসায় লেজার ব্যবহারের গুরুত্ব অধিক। তবে লেজার চিকিৎসায় কী ক্যানসার হতে পারে? বা লেজারের আলো ত্বকের কোনো ক্ষতি করে। এ নিয়ে অনেকেরই মনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু তাই নয়, অনেকেই আবার মনে করেন যে লেজার চিকিৎসা করলে সব ধরণের সমস্যার স্থায়ীভাবে সমাধান পাওয়া যায়। তাই লেজার চিকিৎসা করানোর আগে সকলেরই এ ব্যাপারে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
ত্বকে লেজার চিকিৎসায় ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না এ বিষয়ে এনাম মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রোকন উদ্দিন পরামর্শ দিয়েছেনঃ-
লেজারের ব্যবহার পদ্ধতি
লেজার হলো একটি আলোকরশ্মি। অতি সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে আলোকরশ্মিকে বিভিন্ন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে খুবই সূক্ষ্মভাবে ও শক্তিশালী করে প্রবাহিত করে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করাই হলো লেজার চিকিৎসা। দেহের অভ্যন্তরে থাকা অবাঞ্ছিত টিস্যু যা আমরা রাখতে চাই না, তা কাটাকাটি বা যেকোনোভাবে নষ্ট করতে ব্যবহার করা হয় লেজার চিকিৎসা। সেই সাথে অবাঞ্ছিত লোম, ব্রণের সমস্যা, তিল বা সূর্যের তাপের জন্য সৃষ্ট সমস্যা ও শ্বেতীরোগীর চামড়া স্বাভাবিক করতে লেজার ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ত্বকের গর্ত ঠিক করতে ও জন্মগতভাবে রক্তনালির ত্রুটি ঠিক করতে ভাস্কুলার লেজার ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ক্যানসারের আশঙ্কা নিয়ে ভুল ধারণা
চর্মবিশেষজ্ঞরা ত্বকের চিকিৎসার জন্য লেজার ব্যবহার করে থাকেন। লেজার চিকিৎসা করার সময় কিছু আলো প্রতিফলিত হয়, কিছু আলো আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে, আলো পরিবহনসহ কিছু সংখ্যক আলো নির্দিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরে পড়ে। সাধারণত মানব দেহের চামড়ার মধ্যে থাকা পানি, হিমোগ্লোবিন ও ম্যালানিন লেজারের আলো শোষণ করতে সক্ষম। ফলে শোষিত অঙ্গে তাপ উৎপন্ন হয় এবং অবাঞ্ছিত কোষ ধ্বংস হয়ে যায়।
অবাঞ্ছিত টিস্যু বা কোষ ধ্বংস করার ক্ষেত্রে উৎপন্ন তাপের প্রভাবে আশপাশে থাকা ভালো টিস্যুগুলোর স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং সেই সঙ্গে লেজার যন্ত্রপাতির ত্রুটি ও সঠিক না হলে এবং দক্ষ ব্যবহারকারী না হওয়ার কারণে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু লেজার চিকিৎসায় ক্যানসার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।