।। টেক ডেস্ক ।।
বর্তমানে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। ধারণা করা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সাতাশ কোটিরও বেশি সংখ্যক মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের সেবা যেমন বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, বিনোদন ক্ষেত্র, খবর দেখা, তথ্য আদান-প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ওপরে নির্ভর করতে হয় আমাদের।
কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কী? জীবনের জন্য সহজতর ও দীর্ঘ সময় কাটানোর এই যন্ত্রটি যদি কোনো সময় আপনার হাতছাড়া হয়ে যায়, তবে কি রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সাধারণত অত্যধিক মোবাইল ফোনে আসক্ত ব্যক্তিদের যদি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায় বা যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি দেখা দেয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে অস্বস্তি ও শঙ্কা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি ঘর্ণিঝড়ের গতিতে উদ্বেগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যাকে বিজ্ঞানিদের ভাষায় নোমোফোবিয়া বলা হয়।
‘No Mobile Phone Phobia’ শব্দগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো নোমোফোবিয়া (Nomophobia) বা নো মোবাইল ফোন ফোবিয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যখন কোনো কিছুর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি কিংবা কোনো পরিস্থিতির কারণে কোনো মানসিক অস্বস্তি হয়, ঠিক সেই মুহূর্তকেই নোমোফোবিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চলমান কিছু গবেষণায় জানা যায়, যে সকল ব্যক্তিরা নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়, তারা তাদের ফোনটি ছাড়া নিঃসঙ্গ বোধ করে। ফোনের সাথে এক অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কের মাধ্যমে তারা নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। ফলে তারা বাস্তব মানুষের সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হয়। মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া, নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হবার ফলে কিংবা মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেলে, এসব মানুষের মধ্যে কিছু বিশেষ লক্ষণ সাধারণত কোনো ভীতিকর পরিস্থিতিতে যেসব শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়, এ রোগের ক্ষেত্রেও শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ প্রাকাশ পায়। তবে চাইলেই কিছু নিয়ম মেনে ও নিজের চেষ্টায় নোমোফোবিয়া থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
জেনে নেয়া যাক নোমোফোবিয়া থেকে দূরে থাকতে যেসব কাজ করতে হবেঃ-
★ রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। বিশেষ করে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
★ বাড়িতে থাকাকালীন অল্প সময়ের জন্যে হলেও মোবাইল ফোন ছাড়া বাইরে বেড়াতে হবে।
★ কাজ করার সময় কোনা প্রকার মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
★ দিনের বেলা সময় নির্ধারণ করে সবধরণের প্রযুক্তি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়া এবং সেই সঙ্গে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না দেখার মত কাজগুলো করে নোমোফোবিয়া থেকে দূরে থাকা যায়।