।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীতের সময়ে শহুরে জীবনে তেমন একটা রোদ পোহানো দেখা না গেলেও গ্রামাঞ্চলে এখনো গায়ে রোদ পোহানোর বিষয়টি দেখা যায়। তার উপর আবার অনেকেরই শীতের সকালের রোদ স্বাভাবিকভাবেই খুব মিষ্টি লাগে। তবে শীতকালে রোদ পোহানো কি আসলেই ভালো নাকি ক্ষতিকর? সাধারণত শীতকালে পৃথিবীর বাইরে থাকা ওজন লেয়ার অনেক পাতলা হয়ে যায়। ফলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অনেক বেশি গায়ে অনুভূত হয়। এর বাইরে শীতের সময়ে ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমে গিয়ে অতিবেগুনি রশ্মির রেডিয়েশন ত্বকের উপর বেশি করে পড়ে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং এর ফলে বেড়ে যেতে পারে স্কিন ক্যানসারের সম্ভাবনাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমের নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস বলছেন, গায়ে রোদ লাগানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে সেটি পরিমিত। পরিমিত রোদ পোহালে মন চনমনে হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তসঞ্চালণ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে দীর্ঘ সময় রোদ না পোহানোর ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়, নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস ও রেডিওথেরাপিস্ট ডা. সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক শীতে রোদ পোহানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরীঃ-
শীতে দীর্ঘক্ষণ রোদে না থাকা: শীতকালে বেশি সময় ধরে রোদে থাকা যাবে না। কারণ শীতে বেশি সময় রোদে থাকার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক রং হারিয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে ত্বকের বলিরেখা পড়তে থাকে ও পুুরু হতে দেখা যায়। ফলে সামান্য আঘাত পাওয়া মাত্রই ত্বকে কালশিটে দাগ হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে স্কিন ক্যানসারও হতে দেখা যায়।
হার্ট বা রক্তচাপ রোগী সাবধান: হার্ট বা রক্তচাপ রোগীদের লম্বা সময় ধরে রোদে থাকা একেবারেই উচিত নয়। এসব রোগীরা দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে তাদের প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সুধু তাই নয়, স্কিন অ্যালার্জি বা জ্বর থাকা অবস্থায় রোগীদের রোদে যাওয়া যাবে না। তবে প্রয়োজন হলে মাথায় ভেজা তোয়ালে বা গামছা দিয়ে রোদে যেতে হবে এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিটের বেশি সময় থাকা যাবে না।
খাওয়ার পর রোদে না যাওয়া: অনেকেই আছেন যারা খাওয়ার পর রোদে যায়, কিন্তু খাবার খাওয়ার পর রোদে যাওয়া উচিত নয়। তবে রোদে যেতে হলে অন্তত খাওয়ার দুই বা এক ঘণ্টা পর যেতে হবে বলে জানিয়েছেন নেচারোপ্যাথি বিশেষজ্ঞ ডা. অমরেন্দ্রনাথ দাস।