।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শিশুদের হজম ক্ষমতা থেকে শুরু করে খাবারের তালিকা সবকিছুই বড়দের তুলনায় আলাদা। তাই শিশুদের খাবার খাওয়ানোর সময় নিরাপদ খাবার না খাওয়ালে বিভিন্ন রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশ করে শিশুকে অসুস্থ করে ফেলে। এছাড়া বাসি, পঁচা ও নষ্ট খাবার শিশু অসুস্থ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। অনেক সময় শিশুর আবদার মেটানোর তাগিদে অভিভাবকগণ তাদেরকে ক্ষতিকর অনেক খাবার খাইয়ে থাকেন। যার দরুণ প্রায়শই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা নিয়ে অনেক বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয় অভিভাবকদের। তবে চাইলেই কিছু পদ্ধতি অবলম্বনে শিশুদের খাবার নিরাপদে রাখার পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
শিশুর সুরক্ষা ও খাবার নিরাপদে রাখা নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীর দেয়া পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
খাবার ব্যবস্থাপনা
খাবার নিরাপদে রাখতে অন্যান্য খাবার থেকে কাঁচা সামুদ্রিক মাছ ও মাংস সরিয়ে নিয়ে আলাদা স্থানে রাখতে হবে। কাঁচা খাবার খণ্ড করার জন্য ব্যবহৃত ছুরি বা বোর্ড আলাদা ব্যবহার করা ভালো। রান্না করা খাবার ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রাখতে হবে। অন্যান্য খাদ্যের পাশাপাশি মাংস, ডিম ও সামুদ্রিক খাদ্য ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এছাড়া রান্না করা খাবার দুই ঘণ্টার বেশি ঘরের তাপমাত্রাতে রাখা যাবে না এবং কোন খাবার দীর্ঘ সময় ধরে রেফ্রিজারেটরে রাখা উচিত নয়।
খাবার গ্রহণে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবেঃ-
★ শিশুদের পাস্তুরিত দুধ, কাঁচা ফলমূল খাওয়াতে হবে এবং খাবার নির্বাচনে সব সময় টাটকা খাবার নির্বাচন করতে হবে
★ মেয়াদোত্তীর্ণ প্রক্রিয়াজাত কোন খাবার শিশুকে খাওয়াচ্ছেন কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
★ শিশুর জন্য নির্বাচন করা খাবার ভালো করে রান্না করে নিতে হবে
★ রান্না করা খাবার শিশুকে তাৎক্ষণিক খাওয়ানো উচিত, যদি কোন কারণে খাবার খেতে দেরি হয় তাহলে পরে অবশ্যই গরম করে খাওয়ানো দরকার
★ শিশুর পানি পানের ক্ষেত্রে সবসময় পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে ব্যবহার করে পান করাতে হবে। তবে পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে পরিষ্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ-
➤ খাবার তৈরি ও পরিবেশেনের আগে অবশ্যই সাবান পানি দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে।
➤ মল মূত্র করার পর বা নোংরা কোনকিছু হাত দিয়ে ধরার পর শিশুকে হাত ধোয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
➤ পরিষ্কার বাসনকোসন ব্যবহার করা থেকে শুরু করে রান্নাঘর, খাওয়ার স্থান ও খাদ্যসামগ্রী মাছি ও পোকামাকড়মুক্ত রাখতে হবে।