।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমানে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। সহজভাবে বলতে গেলে সব বয়সী মানুষের মধ্যে এখন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছাড়া চলতে পারাটা যেন দুরূহ ব্যাপার। এদের মধ্যে শিশুদের আসক্তিও একটা সর্ববৃহৎ অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন বসে চালানোর কারণে ঘাড় সামনের দিকে হেলে থাকে। একটানা এভাবে ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার ফলে মারাত্মক পিঠে ব্যথা হয় এবং সেই সঙ্গে মেরুদণ্ডও বেঁকে যেতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। ধারণা করা হয়, বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেই এই সমস্যায় ভুগছেন।
মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে একটানা ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করার ফলে মেরুদণ্ড সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি শরীরের অনেক স্থানে ব্যথা সিনড্রোম বা ‘টেক্সট নেক সিনড্রোম’ হতে পারে এবং সেই সঙ্গে মেরুদণ্ডের জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়ার কারণে হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে নানা ধরণের জটিলতা দেখা দেয়।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পিঠের উপরের অংশে তীব্র ব্যথা, ক্র্যাম্প ধরা, কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া সাধারণ লক্ষণগুলির পাশপাশি সার্ভিকাল নার্ভের উপরে চাপ পড়ে ঘাড়ের চিনচিনে ব্যথা হাত, আঙুল থেকে শুরু করে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া মোবাইল চালানোর সময় আমাদের মস্তিষ্কও ভীষণ সক্রিয় থাকার ফলে পিঠ, শিরদাঁড়া, কোমর ও ঘাড়ের ওপরে অধিক চাপ পড়ে। মোবাইল দেখা থেকে সামান্য কিছু সময় মনোযোগ সরানোর পর পরই পিঠ আর ঘাড়ে সেই ব্যথা অনুভূত হয়।
সমাধানের উপায়
কাজের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহারের সময় ঘাড় বা মাথা একদিকে কাত করে ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ দেহের ভার সমানভাবে বজায় থাকে এবং গাঁটে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা ও কোমড়ের ব্যথার যন্ত্রণা দূর হয়। একটানা ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়, তবে কাজের ক্ষেত্রে কিছু সময় পর পর একটু ব্রেক নেয়া জরুরী। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে কাজ করলে টানা ২৫ মিনিট কাজ করার পর ৫ মিনিটের জন্য ব্রেক নিয়ে আবার কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ঘাড়ের শারীরিক কসরত নিয়মিতভাবে করতে হবে।