।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীত মৌসুমি শাক-সবজিগুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম হলেও বর্তমানে এটি সারা বছরই পাওয়া যায়। বিশেষ পুষ্টিগুণে ভরা এ সবজিটিকে শীতকালীন ‘সুপারফুড’ বলা হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরের গবেষণা অনুসারে জানা গেছে, গাজর অন্যান্য সবজির তুলনায় কম বডি মাস ইনডেক্স ও স্থূলতার হার কমানোর সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং সেই সঙ্গে গাজরে লাইকোপেন নামক আরেকটি ক্যারোটিনয়েডও থাকে, যা পাকস্থলী, প্রোস্টেট, ফুসফুস ও স্তন ক্যানসারের মতো ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য উপাদান। তাই বলা যায় দেহের প্রতিটি অঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় সবজি হলো গাজর।
চলুন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ফারজানা শারমিন তন্বীর কাছ থেকে গাজরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাকঃ-
★ লিভার থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত গাজর খাওয়া প্রয়োজন। কেননা গাজরে থাকা ভিটামিন এ লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে।
★ ভিটামিন এ এর একটি বড় উৎস হলো গাজর। এটি ত্বকের বলিরেখা, ব্রন, দাগছোপ দূর, ত্বকের কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্জন্মকে সাহায্য করার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
★ ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হওয়া বিটা ক্যারোটিন গাজরে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যা চোখের রেটিনায় অবস্থিত রড ও কোন কোষের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, রাত কানা প্রতিরোধ এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে।
★ নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং সেই সঙ্গে ত্বকে পটাশিয়ামের অভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও অনেক উপকার করে।
★ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অনেক উপকারী গাজর। কেননা, গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
★ গাজরে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল চুল পড়া রোধের পাশাপাশি চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে।
★ গাজর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে এবং গাজরে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।
★ গাজরের রস শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনে, তাই অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুর জন্য গাজর অনেক উপকারী একটি উপাদান।
★ গাজরে ফাইবার ও পটাশিয়াম থাকে, এই ফাইবার ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে।
যেভাবে গাজর খেলে উপকারিতা মিলবে
★ প্রথমে গাজর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে খেতে হবে।
★ গাজর কাঁচা খাওয়ার সময় গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নেয়া ভালো।
★ দীর্ঘসময় ধরে গাজরের তরকারি রান্না করা যাবে না।
★ ঠান্ডা করে গাজরের তৈরি খাবার খেতে হবে।