।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
বাহে সেদিন যে দোয়া নিয়ে গেনু আইজক্যা মার্কা নিয়ে আইচোং। মোর দিকে এহনা দেখেন বা। মুইতো তোমার গুলের ছাওয়া। মোক কি তোমরা ফেলে দিবের পাইবেন। এরকম মন ভোলানো নানা আঞ্চলিক ভাষায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চিলমারীর নির্বাচনী এলাকাগুলো। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়া মাত্রই দেরি না করেই নিজ নিজ মার্কা নিয়ে অবিরাম ছুটছে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। দিনরাত সমানে ভোটাদের মন জয় করতে অবিরাম ছুটে চলা প্রার্থী আর সমর্থকদের মুখে উন্নয়নের বুলি সমুদ্রের ঢেউকেও যেন হার মানাচ্ছে। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগে মুখরিত ৩ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জসহ এলাকাগুলো।
কোন প্রার্থী এগিয়ে কে পিছিয়ে কার সঙ্গে কার লড়াই হবে কার মার্কা ভালো এমন আলোচনা আর সমালোচনা নিয়েও চলছে তর্ক বির্তক। তবে এবারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে তেমন সারা না পড়লেও দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। এছাড়াও অন্য কোন মার্কার তেমন শোডাউন না থাকলেও নৌকার প্রতীকের শোডাউন আর স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা।
কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) সংসদীয় আসনে এমপি পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। কুড়িগ্রাম-৪ সংসদ সদস্য পদে লড়াইয়ে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট বিল্পব হাসান পলাশ (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী সাবেক এমপি মোঃ রুহুল আমিন (বাইসাইকেল প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়বেন আওয়ামী লীগ নেতা ডা: ফারুকুল ইসলাম (ঢেঁকি প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে থাকবেন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়বেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মাছুম ইকবাল (কাঁচি প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম শালু ( ট্রাক প্রতীক), জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান (লাঙ্গল প্রতীক), তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মোঃ আতিকুর রহমান খাঁন (সোনালী আঁশ প্রতীক), বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মোঃ আব্দুল হামিদ (ডাব প্রতীক), কৃষক শ্রমিক জনতালীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব (গামছা প্রতীক ) নিয়ে লড়বেন। সূত্রে মনে এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৮৮ জন। কুড়িগ্রাম-৪ আসনের তিনটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ১৩০টি কেন্দ্রে ৭৯৮ টি বুথ থাকবে। ইতিমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠ করার লক্ষে প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, বিজিপি’র টহলও লক্ষ করা যাচ্ছে। এবং নির্বাচন আচরণ বিধি ঠেকাতে রয়েছে প্রশাসনের অভিযান।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/ডিসেম্বর/২২/২৩