।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকাল অ্যাজমা রোগীদের জন্য বেশ কষ্টকর একটা সময়। কেননা এই মৌসুমে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ অনেক বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হয়, প্রতিবছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার লোক অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সাধারণত ঠান্ডা লাগা, জ্বর, শুষ্ক বাতাস, ধুলাবালু ও ধোঁয়ার পরিমাণ, কুয়াশা, বদ্ধ গুমোট পরিবেশ ইত্যাদির কারণে শীতকালে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হয়ে ওঠে বেশি। অসহনীয় অ্যাজমা রোগের ফলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি রোগীকে তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে হয়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, অ্যাজমা হয় অ্যালার্জি থেকে। এই অসুখে অ্যালার্জির কারণে ফুসফুসের ব্রঙ্কাসে সমস্যা হয়। ছোট ছোট শ্বাসনালি ফুলে যায় ও ছোট হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া যায় না। এই অসুখের নামই হল অ্যাজমা। মনে রাখবেন, অ্যাজমা অসুখটির কিছু ট্রিগার রয়েছে। এই অসুখ থাকলে বছরভর কিছু না কিছু সমস্যা রোগীদের লেগেই থাকে। সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শীতে শ্বাসকষ্ট কমাতে অ্যাজমা রোগীদের যা করতে হবেঃ-
★ অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বায়ুদূষণ। তাই ধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করে বাইরে যেতে হবে।
★ অ্যাজমায় ধূমপান ও মদ্যপান করা একেবারেই উচিত নয়।
★ ইনহেলার হলো অ্যাজমা রোগের প্রধান ওষুধ। তাই জরুরীভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমা রোগীদের ইনহেলার ব্যবহার করা জরুরী।
★ অ্যাজমায় ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার গুরুত্ব অনেক। এর বাইরেও অ্যাজমা রোগ প্রতিকারে রোগীকে বেশকিছু টিকা দিতে হবে। অ্যাজমায় এসকল টিকা দেওয়া প্রয়োজন।
★ ঠান্ডার কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানির মতো অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই বাইরে কোথাও বের হওয়ার সময় ঠান্ডা বাতাস ও ঠান্ডা লাগা থেকে মুক্তি পেতে গরম কাপড় পরিধান করে বের হতে হবে।
এছাড়াও যাদের শীতকালে অ্যাজমা বাড়তে দেখা যায়, তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে অ্যাজমা রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। অ্যাজমার প্রকোপে ওষুধের পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে এবং সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।