।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শরীরের জন্য অতি আবশ্যকীয় পুষ্টিকর উপাদান হলো প্রোটিন, যা মানবদেহে পুষ্টির অপূর্ণতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রোটিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি পেশির বৃদ্ধি, মেরামত, চুল, ত্বক, দাঁত ও টিস্যুসহ বিভিন্ন অঙ্গ গঠনেও সাহায্য করে।
প্রোটিনের একটি বড় অংশ হলো আমিষ। যা শরীরের কার্যাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই সাথে প্রকৃতিতে থাকা ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিড দেহের বিভিন্ন ধরণের আমিষ গ্রহণে সাহায়তা করে। ধারণা করা হয় প্রাণিজ আমিষ মানবদেহে সহজে শোষিত হয়, যে কারণে একে সম্পূর্ণ আমিষ হিসেবে বিবেচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে উদ্ভিজ্জ আমিষ একটি অসম্পূর্ণ আমিষ হিসেবে ধরা হলেও এটি বেশ কার্যকরী।
বয়স, লিঙ্গ ও স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভর করে আমাদের যে পরিমাণ আমিষ প্রয়োজন তা নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। তাছাড়া আমাদের প্রতিটি খাবারে ২০ থেকে ৪০ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত ওজনের ওপর নির্ভর করে প্রতি কিলোগ্রামে ন্যূনতম ০.৮-১ গ্রাম আমিষযুক্ত খাবার খেতে হবে। ভারী কসরতের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের ওজনের ভিত্তিতে ১.৫-২.০ গ্রাম পরিমাণ আমিষ যেমন ১১০ থেকে ১২০ গ্রাম আমিষ খাওয়া দরকার। কেননা আমিষ গ্রহণের মাধ্যমে শরীরচর্চা করার পর শরীরের পেশি সুস্থ থাকে। আমিষযুক্ত খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থির রাখতে ও হরমোনের ভারসাম্য এবং একই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত আমাদের আমিষযুক্ত খাবার গ্রহণ করা জরুরী।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যেসব আমিষযুক্ত খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজনঃ-
★ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে নিয়মিত ডিম কুসুমসহ খেতে হবে। কারণ একটি ডিমে ৬ গ্রাম বা তার অধিক আমিষযুক্ত প্রোটিন পাওয়া যায়।
★ মাংসের মধ্যে একটি মাঝারি আকারের মুরগির এক টুকরা (৩০ থেকে ৪০ গ্রাম) মাংসে ৭ থেকে ৮ গ্রাম আমিষ থাকে, যা দেহের জন্য খুবই উপকারী।
★ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মাছ রাখা ভালো, কারণ মাছের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ রয়েছে।
★ এক মুঠো চিনাবাদামে ৪.৫ থেকে ৫ গ্রাম আমিষ রয়েছে। তাই পরিমাণমতো চিনাবাদাম খাওয়া প্রয়োজন।
★ গাভীর খাঁটি এক গ্লাস দুধে ৮ গ্রাম আমিষ পাওয়া যায়। তাই দৈনিক এক গ্লাস গাভীর দুধ পান করা ভালো।
★ আমিষের অন্যতম একটি উৎস হলো মসুর ডাল। নিয়মিত মসুর ডাল গ্রহণের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাই খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল যুক্ত করা জরুরী।
এছাড়াও নিরামিষাশী যেমন- ছোলা, রাজমা, ডাল, মটরশুঁটি, সয়াবিন, বাদাম, তিসি ইত্যাদি খাবার আমিষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তাই নিরামিষাশী খাবার গ্রহণ করা ব্যক্তিদের এসব খাবার খাওয়া শ্রেয়।