।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ঠান্ডা কিংবা গরমে ভালোভাবে গোসল করার পরেও ত্বকে একপ্রকার জ্বালাভাব বা চুলকানির লক্ষণ দেখা যায়। এই চলকানির অতিষ্ঠে শরীরের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ওষ্ঠাগত হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়। সাধারণত গোসলের পর শরীরে চুলকানি শুরু হয় এবং শরীর মুছে ফেলার ৩০-৪০ মিনিট পর তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। কিন্তু গোসলের পর চুলকানির কারণ কী? ধারণা করা হয়, সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা কমে যায়, ভালোভাবে তা পরিষ্কার না করলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। এই শুষ্কতার কারণে একজিমার প্রকোপ দেখা দিতে পারে এবং সেই সঙ্গে ত্বকে প্রদাহ, ফুসকুড়ি, ফোলাভাব ও চুলকানি সৃষ্টি করে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরণের চুলকানিকে অ্যাকুয়াজেনিক প্রুরিটাস বা চর্মরোগ বলা হয়।
ল্যাবএইড হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের কনসালটেন্ট, চর্ম, যৌন, কুষ্ঠ, সেক্স ও অ্যালার্জি রোগবিশেষজ্ঞ ডা. মাহ্মুদ চৌধুরীর পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
গোসলের পর শরীরের চুলকানি প্রতিকারে যা করতে হবে
শরীরে এ রকম চর্মরোগ বা অ্যাকুয়াজেনিক প্রুরিটাস হয়ে থাকলে, উক্ত জায়গায় চুলকিয়ে যদি দৃশ্যমান কোনোরূপ ক্ষত না দেখতে পাওয়া যায় বা পানির সংস্পর্শে এলেই ত্বকে তীব্র চুলকানি শুরু হয়। তাহলে যতদ্রুত সম্ভব একজন ত্বকবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় যেমন- গোসল করার আগে নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল তেল সমগ্র শরীরে মেখে নিতে পারেন। গোসল করার ১ ঘণ্টা পূর্বে একটি অ্যান্টিহিস্টামিন খেয়ে নিয়ে তারপর গোসল করা ভালো। গোসল শেষ করার পর গোসলখানাতে থাকা অবস্থায় মানসম্পন্ন ময়েশ্চারাইজার সারা শরীরে মেখে নিয়ে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।