।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
প্রোটিনিউরিয়া হলো এমন একটি রোগ যার প্রভাবে দেহ থেকে প্রস্রাবের সাথে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে প্রোটিন বেরিয়ে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রোটিনিউরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকবেড়ে যায়। অনেক সময় প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন চলে গেলে তা খালি চোখে দেখা যায় না, আবার অনেকের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে প্রোটিন চলে গেলে তখন প্রস্রাব অনেকটা ঘোলাটে দেখায়, সাদাটে ও ফেনা ফেনার মতো।
সাধারণত প্রোটিনিউরিয়া রোগের তেমন কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় না, তবে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন কমে যাওয়ার ফলে কিছু উপসর্গ যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা, পা ফোলা, মুখ ফোলা, ক্ষুধামান্দ্য, অরুচি, অবসন্নতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
প্রোটিনিউরিয়ায় আক্রান্ত বা প্রসাবে প্রোটিন যাচ্ছে কি না বুঝবেন যেভাবে
ডিপস্টিক পরীক্ষাটি ও প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা করে প্রোটিনিউরিয়ায় আক্রান্ত বা প্রসাবে প্রোটিন যাচ্ছে কি না তা জানা যায়। সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী বা যাদের প্রোটিনিউরিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি তাদের প্রতিবছরে একবার হলেও ডিপস্টিক ও প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা করে নেওয়া পয়োজন।
ডিপস্টিক পরীক্ষা
ডিপস্টিক পরীক্ষাটি করার জন্য প্রথমে টেস্ট টিউবে প্রস্রাব নিয়ে কাঠির মতো একটি জিনিস ডুবিয়ে রাখলে কাঠিতে রঙের পরিবর্তন হবে কি না তা দেখে ধারণা করা হয় যে প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন যাচ্ছে কি না। তবে ৪০ পার হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রুটিন (ইউরিন রুটিন এক্সামিনেশন) পরীক্ষা করা অবশ্যই কর্যকরী হবে। কেননা এ পরীক্ষাটির মাধ্যমে শুধু প্রোটিনিউরিয়ায় নয়, অন্যান্য অনেক রোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
করণীয়
★ প্রোটিনিউরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে
★ যথা সময়ে এ রোগের চিকিৎসা না করা হলে জটিলতা অনেক বেড়ে যায়
★ প্রোটিনিউরিয়া রোগের শুরুতেই রোগীকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন- রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম এবং কিডনির প্রদাহ হলে কিডনি বায়োপসি করাতে হবে
★ এ রোগ হওয়ার কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়
★ ওষুধের মাধ্যমে প্রোটিনিউরিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে হয়
★ আক্রান্ত রোগীদের প্রোটিনের ঘাটতি থাকায় শরীরে পানি জমতে পারে, তাই এ সময় খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে
★ রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে
★ প্রোটিনিউরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর ডায়াবেটিস থেকে থাকলে তার ডায়াবেটিস তিন মাসের গড় মাত্রা ৭ এর নিচে রাখা জরুরী
★ প্রদাহের জন্য বেশকিছু ওষুধ যেমন- স্টেরয়েড বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে