।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। ফলে ফকিরের হাট টার্নিং পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানের ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে ফেরি। এতে চলাচল ব্যাহত হওয়ায় কমে আসছে এই রুটের চাহিদা।
জানা গেছে, চাহিদা ও সুবিধার জন্য চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে চালু করা হয় ফেরি সার্ভিস। ফেরি চালু হওয়ায় চাহিদাও বেড়ে যায় ব্যাপক। কিন্তু নাব্যতা সংকটে প্রায় সময় আটকে যাচ্ছে ফেরি, ফলে বাড়ছে ভোগান্তি। ফেরি চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ায় এই রুটের চাহিদাও কমে যাচ্ছে এবং কমে আসছে রাজস্ব আয়ও।
চলতি মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতার কারণে শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার পর রৌমারীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কুঞ্জলতাটি ফকিরেরহাট এলাকায় ডুবোচরে আটকে পড়ে। আটকে পড়ার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ( দুপুর দেড়টার পর) ফেরি কদম সেটিকে উদ্ধার করে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে গাড়ি চালকসহ যাত্রীরা।
ফেরি কুঞ্জলতার মাষ্টার অফিসার মো: রেজাউল করিম বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় সময় ফেরি আটকে যাচ্ছে এবং ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, আমরা নিরাপদে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছি তবুও অনেক সময় ভয় হয় কখন যেন বড় ধরণের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
ফেরি আটকে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচলের বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে, সঠিকভাবে ড্রেজিং করা না হলে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/ডিসেম্বর/০৮/২৩