।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
প্রাণঘাতী ম্যালিগন্যান্ট টিউমারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো পাকস্থলীর ক্যানসার। সাধারণত এই অসুখটি পাকস্থলীর যেকোনো জায়গায় দেখা দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী সব ক্যানসারের মধ্যে তৃতীয় মৃত্যুর কারণ হলো পাকস্থলীর ক্যানসার। সম্প্রতি জানা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৯৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এর প্রভাব আমাদের দেশেও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মরণব্যধি ক্যানসার নারীদের তুলনায় পুরুষদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় দ্বিগুণ।
হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পাকস্থলীর ক্যানসারের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া লবণাক্ত খাবার, ধোঁয়াযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার, নাইট্রেট, নাইট্রাইট এবং সেকেন্ডারি অ্যামাইনযুক্ত খাবার, অ্যালকোহল সেবন, তামাক ইত্যাদির কারণে পাকস্থলীতে ক্যানসার জন্মাতে পারে।
ঢাকা মহাখালী জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ একরামুল হক জোয়ার্দ্দার এর পরামর্শ অনুযায়ী, জেনে নিনঃ- পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ।
প্রাথমিক পর্যায়ে পাকস্থলীর ক্যানসারের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তবে, প্রথমে বদহজম ও পেটের ওপরের অংশে ব্যথা থাকতে পারে। একই সাথে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়-
➤ পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি
➤ একটানা অ্যাসিডিটির সমস্যা বা বদহজম
➤ বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
➤ ক্ষুধামন্দা ভাব এবং দ্রুত ওজন কমে যাওয়া
➤ খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া এবং খাওয়ার পরে দ্রুত পেট ফুলে যাওয়া
➤ সব সময় ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভূত হওয়া
➤ স্টুলের সাথে রক্ত যাওয়া বা কালচে মল
➤ রক্ত বমি করা এবং জন্ডিস হওয়া
চিকিৎসা
পাকস্থলীর ক্যানসারের চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যানসারের স্টেজের ওপর। পাকস্থলীতে টিউমারের অবস্থান ভেদে অস্ত্রোপচারের অপসারণ করা। এছাড়া কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপিও টার্গেটেড ড্রাগ থেরাপি দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
করণীয়
★ পাকাস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধে ধূমপান পরিহার ও মদ্যপান একেবারেই করা যাবে না
★ এইচ পাইলোরির কোনো ইনফেকশন থেকে থাকলে তা নির্মূল করা প্রয়োজন
★ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী
★ নিয়মিত পরিসরে ব্যায়াম করতে হবে
★ অ্যাসপিরিন বা অন্যান্য এনএসএআইডিএস-জাতীয় ওষুধ সেবনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।