।। টেক ডেস্ক ।।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এআইয়ের ছোঁয়ায় যেমন বদলে যাচ্ছে অনলাইন জগৎ ঠিক তেমনি এআইয়ের নানাবিধ রূপও দেখেছে সমগ্র বিশ্ববাসী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের একটি মাধ্যম ডিপফেক দিয়ে ভুয়া ভিডিও তৈরি করে ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানা, বলিউডের কাজল ও আলিয়া ভাটকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে ফেলেছিলেন একদল সাইবার অপরাধী। ডিপফেক এআই হলো এআইয়ের একটি ধরণ, এক্সিসটিং সোর্সকে সরিয়ে বা সোয়াইপ করে নতুন কিছু বসাতে পারদর্শী এই প্রযুক্তিটি। সাধারণত এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে ছবি, অডিও এবং ভিডিও তৈরি করা যায় খুব সহজেই। তবে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে ডিপফেক এআই দিয়ে তৈরি করা ভিডিও চেনার মাধ্যমে এই ধরণের নানাবিধ ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ডিপফেক এআই দিয়ে বানানো ভিডিও চিনবেন যেভাবেঃ-
চোখ: চোখের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে ভিডিওটি ডিপফেক দিয়ে বানানো হয়েছে কি না। কারণ গবেষণায় জানা গেছে, ডিপফেক ভিডিওতে একটা চরিত্রের চোখের পাতা সাধারণ মানুষের মতো ব্লিঙ্ক করে না। পলক ফেলার ক্ষেত্র হয় স্থির থাকে নয়তো ঘনঘন ফেলে। এক্ষেত্রে ডিপফেক দিয়ে বানানো ভিডিওতে চোখ অন্যরকমও দেখাতে পারে।
ঠোঁটের দিকে খেয়াল রাখা: নিম্ন মানের ডিপফেক এআই দিয়ে বানানো ভিডিও বুঝতে পারবেন খুব সহজেই। কেননা ডিপফেক ভিডিওতে লিপ-সিঙ্কিং স্বাভাবিকভাবে দেখাবে না বা ভিডিওতে অডিওর সাথে ঠোঁট পুরোপুরি মিলবে না। ডিপফেক দিয়ে বানানো ভিডিওতে কিছু না কিছু অসঙ্গতি থাকবে। তাই ভালো করে খেয়াল করলে সঠিকটা যাচাই করতে পারবেন।
চুল ও দাঁত: সাধারণত ডিপফেক ভিডিওতে চুল নিখুঁত থাকে না। তাই চুল ও দাঁত ভালো করে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন যে ভিডিওটি ডিপফেক দিয়ে বানানো নাকি সত্যি।
এছাড়াও ত্বক দেখার মাধ্যমে ডিপফেক দিয়ে তৈরি ভিডিওতে আসল ব্যক্তি আর ভুয়া ব্যক্তির পার্থক্য বুঝা যায়। ডিপফেক ভিডিওতে চরিত্রের মধ্যে ব্যক্তির গায়ে কোনো দাগ থাকে না এবং শরীরের অদ্ভুত নড়াচড়াও একটি বড় লক্ষণ হতে পারে। যা ভালোভাবে খেয়াল করলে সঠিকটা বুঝতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরণের ঝামেলা এড়াতে পারবেন।