।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
আসে সরকারি বরাদ্দ, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয় উন্নয়ন। উন্নয়নের ধারা এগিয়ে গেলেও তা থমকে দাঁড়ায়। মাস যায়, যায় বছরের পর বছর। প্রতি বছরেই আসে কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ আর প্রকল্প। কাজের ধারায় যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা উন্নয়নের কিন্তু বারবার বন্যা ও ভাঙন সাথে অনিয়মের কারণে তা থমকেই দাঁড়িয়ে থাকে। সঠিক পদক্ষেপের অভাব এবং দুর্নীতিকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ, উন্নয়ন হচ্ছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার। পিছিয়ে নেই চিলমারী। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্যা, ভাঙন ও বিভিন্ন দুর্যোগ সাথে অনিয়ম আর দুর্নীতির থাবা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি), এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ননওয়েজ, পুকুর খনন, সংস্কার, বিনামূল্যে কৃষি পণ্য, মাছ চাষসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলার মতো চিলমারীকে এগিয়ে নিতে বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রকল্পের মাধ্যমে ভবন, সড়ক, ব্রীজ নির্মাণ, শহর, গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক সফলতা অর্জনের সাথে সাথে এগিয়ে যায় চিলামারী। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সঠিক টেকসই পদক্ষেপ না নেয়ায় আবারও পিছিয়ে পড়ে চিলমারী। অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে বারবার বন্যা, ভাঙন আর বিভিন্ন দুর্যোগ আটকে দেয় উন্নয়নের চাকা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও (২০২২-২৩) অর্থবছরে বিভিন্ন দপ্তরের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অধীনে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ভবন, রাস্তা, ব্রীজ, গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ, সংস্কার, ব্রীজ, কালভার্ট, আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বিনামূল্যে মাছ চাষে চাষিদের সাবলম্বীকরণ, কৃষি দপ্তর থেকে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া হয় চিলমারীকে। বিগত সময়ের ন্যায় চলতি বছরে অনিয়ম, দুর্নীতি নামক থাবার সাথে বন্যা আর ভাঙন ভেসে ও ভেঙে দেয় বিভিন্ন সড়ক, রাস্তা ঘাট, ব্রীজসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে আবারও থমকে দাঁড়িয়েছে চিলমারী। আটকে গেছে উন্নয়নের চাকা। তবে এর জন্য কর্তৃপক্ষের সঠিক পদক্ষেপ নেয়াসহ সততার সাথে কাজ করার আহবান জানান এলাকার সচেতন মহল।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক আশিক ইশবাল বলেন, আমরা দেখছি প্রতিবছর চিলমারীর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী উন্নয়ন তো চোখে পড়ে না। সচেতন মহল মনে করেন প্রতিবছর রাস্তার মাটি সরে যাওয়া আর ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ হলো সঠিক পদ্ধতি হাতে না নেয়া আর বন্যা সহনশীল পদক্ষেপ না নেয়া এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি করা। তবে কাজের মানকেও নিম্ন বলেও দাবি করেন এলাকার মানুষজন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মজিদ বলেন, রাস্তায় শুধু মাটি কাটলেই কি হয় তা টেকসইয়ের ব্যবস্থা না নিলে তো বৃষ্টি আর বন্যায় নষ্ট হবেই।
এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, চিলমারী একটি ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকা। বন্যায় শুধু কাঁচা সড়ক নয় বেশ কিছু পাকা সড়ক, রেল লাইন, ব্রীজ কালভার্টও ভেঙে ভেসে যায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক মামুন আর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে থাকবেনা চিলমারী।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/নভেম্বর/২৭/২৩