।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা এতটাই আধুনিক হয়ে উঠেছে যে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সংস্পর্শ সর্বদা লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেক শিশু খাবার খেতে না চাইলে অভিভাবকরা তাদের শিশুকে মোবাইল ফোন দেখানোর মাধ্যমে খাবার খাইয়ে থাকেন। একাধিক বিশেষজ্ঞের ভাষায় মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে ‘স্ক্রিন অ্যাডিকশন’ এর কারণে শিশুদের ক্ষুধার্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। শিশুরা যখন মোবাইল ফোনে আকৃষ্ট থাকেন, তখন তাদের খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয় না। ফলে কোনো সময় কম আবার কোনো সময় বেশি খেয়ে থাকে। একই সাথে স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা প্রাপ্ত হওয়ার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নির্গত নীল আলো স্বাভাবিক ঘুমের হরমোনের ওপর চাপ দেয়, যেকারণে শিশুরা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না এবং পুরোপুরি বিকশিত হতে সক্ষম হয় না।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুরা এখন ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সংস্পর্শে আসছে। জীবনের প্রথম পাঁচ বছরে দেখা, শ্রবণ, অনুভূতি, গন্ধ এবং স্বাদসহ পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের বিকাশ প্রয়োজন। কিন্তু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং মোবাইল শিশুদের দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তির ক্ষতি করে। এটি তাদের জীবনে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি উভয় প্রভাব ফেলে। এর স্বল্পমেয়াদি প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে ঘুমের সময় হ্রাস এবং বিরক্তি। একই সময়ে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে শিশুদের আচরণগত সমস্যা, মনোযোগ দিতে অসুবিধা, স্কুলের কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব, মনোযোগ ঘাটতির সমস্যা।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শিশুদের মোবাইল থেকে দূরে রাখার উপায়ঃ-
★ বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে শিশুদের জন্য মোবাইল ফোন বা টিভি দেখার নির্ধারিত সময় করে নিতে হবে।
★ নিয়মিত শিশুদের খাওয়ানোর সময় মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের পরিবর্তে কথা বলে খাওয়াতে হবে এবং শিশুকে ঘুমানোর আগে একেবারেই মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে রাখা যাবে না।
★ খেলাধুলা, গল্প বলা, বোর্ড গেমসসহ নানা ধরণের কার্যক্রমে শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে হবে।
★ শিশুদের সঙ্গে থাকাকালীন সময়ে গুরুত্ব ছাড়া কখনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
★ প্রত্যেক অভিভাবকগণ তাদের শিশুদের জন্য সঠিক নিয়মাবলী নিজ দায়িত্বে পালন করতে হবে।