।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
গৃহবধূ থেকে শুরু করে যেসব পেশায় দীর্ঘ সময় ধরে পানি নাড়তে হয়, বা অনবরত সাবান ও সোডাজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে থেকে কাজ করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই একজিমা রোগে আক্রান্ত হন। যদিও এটি তেমন কোনো গুরুত্বর রোগ নয়, তবে হাতে একজিমার কারণে রোগীদের দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
একজিমা রোগীরা অনেক সময় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুফল পায় না। সাধারণত একজিমা রোগের শুরুতে আঙুলগুলো লাল ও শুকনা হয়ে ফেটে যায়, হাতের চামড়ায় ফোসকা পড়ে এবং অনেক সময় ত্বক ফেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। একই স্থানে পানি ও সাবান জমে থাকলেও একজিমা রোগের প্রকট দেখা দেয়।
ঢাকা আল-রাজী হাসপাতালের চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগবিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. দিদারুল আহসান এর পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
হাতের একজিমা রক্ষায় করণীয়
হাতে একজিমা একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ এবং এর কোনো লক্ষণ যেমন হাতের ত্বকে, আঙুলে লাল ফুসকুড়ি, ফাটা ও চুলকানি দেখা মাত্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এরপর চিকিৎসক রোগীর হাতের অবস্থা বুঝে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এছাড়া একজিমায় আক্রান্ত থাকাকালীন বাসনকোসন বা কাপড়-চোপড় ধোয়ার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। এমন কোন কিছু হাত দিয়ে ধরা যাবে না, যার জন্য হাতে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হয়। যদিও এ সময় পানির কাজ থেকে দূরে থাকা ভালো, তবে প্রয়োজন পড়লে পানির কাজ করার পর মোলায়েম কাপড় দিয়ে ভালো করে হাত মুছতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার হাতে দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।