।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
ঘনিয়ে আসছে সময় চলছে দৌড়ঝাপ। ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে আলোচনার ঝড়। আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনটি জাতীয় পার্টির (জাপা) কাছ থেকে দখলে নিলেও পরের নির্বাচনে আর ধরে রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের তখনকার সংসদ সদস্যকে হারিয়ে দশম সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী। আবারও একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনটি দখলে নেন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন এমপি নির্বাচিত হন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবারে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) আসনটি আবারও দখল করতে চায়। এ কারণে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম-৪ আসন চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের ২৮ নম্বর নির্বাচনী এলাকা। এ আসনে এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দেড় ডজনেরও বেশি নেতা মনোনয়ন চাচ্ছেন বলে আলোচনা থাকলেও এই আসন থেকে দেড় ডজনের উপর প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন ক্রয় এবং জমা শেষে লোভিংয়ে দৌড়ঝাপ করছেন প্রার্থীরা নৌকার জন্য।
আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি হতে দৌড়ে রয়েছে এবং মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (এমপি), অ্যাডভোকেট মোঃ আমজাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম সাদাকাত হোসেন ছক্কু মিয়ার পুত্র অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ সাজেদ হোসেন তাতা, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রহিমুজ্জামান সুমন, চিলমারী রমনা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ ফারুকুল ইসলাম (ফারুক), সদস্য বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ অ্যাডভোকেট এস এম জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগ সভাপতি মাশরাত আক্তার খুকি, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, রাজিবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আলম, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল হক মনি, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, অ্যাডভোকেট মাছুম ইকবাল, হাজী মুরাদ লতিফ, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ, রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান রতন, সদস্য কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোঃ জাবেদ হোসেন লিখন, আওয়ামী লীগ নেতা রাজু আহমেদ খোকা, রৌমারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুনর রশীদ প্রমুখ।
তবে আবারও মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি। অনেক ভোটারদেরও ধারণা রয়েছে, তিনি যেহেতু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন সেহেতু হয়তো তেনাতেই আবারও মনোনয়ন দিতে পারে আওয়ামী লীগ। তবে বেশকিছু নেতাকর্মী পরিবর্তন চান। পুরাতন থাকছে না নতুন কেউ নৌকা পেতে যাচ্ছে এই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ক্রয়ের পর মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও তদবিরও করছেন তাঁরা।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/নভেম্বর/২২/২৩