।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ছোঁয়াচে রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হলো হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ (এইচএফএমডি) যা শিশুদের মধ্যে বেশি হতে দেখা যায়। সাধারণত আরএনএ ভাইরাসের কারণে শিশুদের মাঝে এই রোগটি হয়ে থাকে এবং ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরাই এতে আক্রান্ত বেশি হয়। ভাইরাসজনিত হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগে আক্রান্ত রোগীর ফোস্কা থেকে নির্গত রস, হাঁচি-কাশি, ব্যবহৃত পোশাক এবং স্পর্শ করা যেকোনো জিনিস, এমনকি মলের মাধ্যমেও অন্যান্য ব্যক্তিদের মাঝে ছড়িয়ে থাকে। তবে হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ কোনো গুরুত্বর রোগ না হলেও জানতে হবে প্রতিকার।
প্রাথমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত হলে ভাইরাল জ্বরের মতোই জ্বর শুরু হয় এবং এক বা দুই দিন মধ্যে মুখের ভেতরে, হাতে-পায়ে বা নিতম্বে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে, যন্ত্রণাদায়ক ফোসকা এমনকি শিশুর ত্বকের রঙের ওপর নির্ভর করে ফুসকুড়ি লাল, সাদা, ধূসর বা ছোট ছোট দাগের মতো দেখা দেয়।
আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড মিরপুর, ঢাকা, বিভাগীয় প্রধান, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. ইমনুল ইসলামের পরামর্শ অনুযায়ীঃ-
ভাইরাসজনিত হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগের চিকিৎসা
সঠিক নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে রোগীকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায়। হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগে আক্রান্ত শিশুকে নরম জাতীয় খাবার, স্যুপ ও পচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। শিশুর জ্বর বা ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ওষুধ দেওয়া যাবে। এছাড়া অ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ চুলকানির জন্য ব্যবহার করা যাবে। কোনো কারণে যদি শরীরে পানিশূন্য হয়, অধিক পরিমাণে জ্বর আসে ও জ্বরে ঠান্ডা অনুভূতি হওয়া এবং ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ব্যথা ভালো না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে
★ হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগে আক্রন্ত রোগীর দেখাশুনা করার সময় অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করে সেবা করতে হবে।
★ আক্রান্ত রোগীর ব্যবহার করা যাবতীয় আসবাপত্র পরিষ্কারের সময় হাতে গ্লাভস পরে পরিষ্কার করতে হবে।
★ রোগীর যাবতীয় কাজ শেষ করার পর সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে হাত-পা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
★ আক্রান্ত শিশুকে কোনো ভাবেই স্কুলে পাঠানো যাবে না।
★ মাউথওয়াশ ও লোকাল অ্যানেসথেটিক জেলি লাগানোর মাধ্যমে হ্যান্ড ফুট মাউথ রোগে আক্রান্ত শিশুর মুখের ব্যথা দূর করা যায়।