।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে আগাম আভাস দিচ্ছে শীতের পদধ্বনি। দিনের বেলায় সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও গরম অনুভূতি হলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ঝরতে থাকে কুয়াশা সাথে সাথে হিমেল হাওয়া। রাত বাড়ার সাথে সাথে নেমে আসে ঠান্ডা।
সকালে গাছ-গাছালিতে জমে থাকছে শিশির বিন্দু। সূর্য ওঠার অনেক পরেও জমে থাকছে শিশির বিন্দু। দিনে গরম পোশাক পরিধান না করলেও রাতে ঘুমাতে গেলে লাগছে কাঁথা ও কম্বল। এতে করে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হঠাৎ করে এই অঞ্চলের আবহাওয়া পরির্বতনের কারণে শিশুদের পাশাপাশি যুবক-যুবতী এবং বয়স্কদেরকেও চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসতে দেখা গেছে।
হিমালয় কাছে হওয়ায় আগেই শীতের হাওয়া লাগে এই অঞ্চলের গায়ে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে অন্যবারের তুলনায় এবারে পড়েই নেমেছে শীতের হাওয়া। কিছুদিন থেকেই শুরু হয়েছে কুয়াশা। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে কুয়াশাও বাড়তে থাকে। হঠাৎ এই শীতের আগমনে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা উঠানামায় এই উপজেলার মানুষ পড়ছে বিপাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ আবহাওয়ার পরির্বতনের ফলে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। আর শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
শীতের আগাম বার্তা পেয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে শীতকে বরণ করার প্রন্তুতি। বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে লেপ, তোশক তৈরির হিরিক। কয়েক মাস অলস সময় পাড় করার পর লেপ, তোশক কারিগরাও হয়ে পড়েছেন ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রর ধুম পড়েছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/নভেম্বর/২১/২৩