।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম অবস্থাকে বলা হয় প্রি-ডায়াবেটিস বা প্রাক্-ডায়াবেটিস। ধারণা করা হয়, যাদের প্রাক্-ডায়াবেটিস হয় তাদের শতকরা ৫০ জনের মধ্যে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এছাড়াও যাঁদের ওজন বেশি, ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সীরা, পরিবারের ইতিহাসে ডায়াবেটিসের ঘটনা, শরীরচর্চার অভাব ইত্যাদি কারণে প্রাক্-ডায়াবেটিস হতে পারে। সাধারণত রক্তে চিনির মাত্রা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেড়ে যায় যেমন সকালে যদি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৬.১-৬.৯ মিলিমোল/লিটার এবং ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর যদি ৭.৮-১১ মিলিমোল/লিটার হয়, তবে তার প্রাক্-ডায়াবেটিস হয়েছে বলে গণ্য করা হয়। এর ফলে হৃদরোগ, রক্তনালি ও কিডনির ক্ষতি, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার অর্থ হল আপনার রক্তে গ্লুকোজের (চিনি) মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে তরুণরাও প্রি-ডায়াবেটিসের সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রিডায়াবেটিসের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাক্-ডায়াবেটিস হলে করণীয়
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে বা নিয়ন্তণে রাখতে প্রথমে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট ও চিনিযুক্ত খাবার থেকে নিজেকে দূরে রেখে বাজরা বা গোটা শস্য, ফল, সবুজ শাকসবজি, ফাইবারসমৃদ্ধ জটিল শর্করা, আমিষ এবং অল্পস্বল্প অসম্পৃক্ত চর্বি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। শরীরের ওজন শতকরা পাঁচ থেকে সাত ভাগ কমাতে হবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে দৈনিক ৩০ মিনিট করে জোর কদমে হাঁটতে হবে। এতে শতকরা ষাট ভাগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং পেটের ক্ষতিকর ভিসেরাল ফ্যাট কমানো জরুরী। ধূমপানকে একেবারেই না করে মানসিক চাপ কমিয়ে জীবনকে স্বাভাবিক করে তুলতে হবে।