।। নিউজ ডেস্ক ।।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নাগেশ্বরী নিলুরখামার ও হাসনাবাদ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুরখামার ও হাসনাবাদে অসংখ্য নিরাপরাধ বাঙালিদের উপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর পাকবাহিনী নাগেশ্বরী সদর থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলেপেরতেপথি, চরুয়াটারী, কাইটটারী, সূর্যেরকুটি, সাতানি ও ব্যাপারীহাটসহ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালালে ভীতসন্ত্রস্ত নিরীহ বাঙালি নিলুরখামার গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে পাক বাহিনীরা ওই গ্রামটিকে তিনদিক থেকে ঘিরে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। উক্ত অগ্নিকণ্ডে পুড়ে মারা যান ইউনিয়ন পরিষদের সেক্রেটারি আপর আলী, বাচ্চানী খাতুন, মইনুদ্দিন মুন্সী, আব্দুস সালাম মুন্সী, হাজেরা খাতুন ও আজিজুর রহমানসহ ৭৯ জন শহিদ হন। তবে সেদিনের ঘটে যাওয়া ক্ষত বুকে নিয়ে রোকেয়া বেগম, মালেকা বেগম, জামাল ও মিছির আলীসহ অনেকে এ গণহত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে বেঁচে আছেন।
একই দিনে ২৫ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আতাউল্লাহ খানের নেতৃত্বে রাজাকার ও পাকবাহিনীর একটি দল নাগেশ্বরীর হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিয়ার হাট, শ্রীপুর, হাজির হাট, টালানাপা গ্রামের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ২৯ জন নিরীহ বাঙালিকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে এবং হাসনাবাদের মনিয়ার হাটের মুক্তিযোদ্ধার বাবা আগু মিয়াকে ধরে নিয়ে এসে হাত-পা বেঁধে আগুনে ফেলে দেন তারা।