।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
বাতাস থেকে অক্সিজেনকে মানবদেহের রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফুসফুস। কিন্তু বায়ুদূষণের কারণে দিন দিন ফুসফুসের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ফুসফুস স্বাভাবিক না থাকলে ঠিকমতো শ্বাস নেয়া যেন অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় এবং এর প্রভাবে রোগীকে অক্সিজেন, নেবুলাইজেশন, এমনকি মারাত্মক পরিস্থিতিতে লাইফ সাপোর্টও প্রয়োজন হতে পারে। যেকারণে কীভাবে ফুসফুসের সমস্যা বা ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তা অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই এই শ্বাসযন্ত্রটিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা এবং কিছু অভ্যাস পরিহার করে চলা অত্যন্ত জরুরী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসকে ভালো রাখতে অবশ্যই নিজের জীবনযাত্রায় সঠিক বদল আনতে হবে। ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে ধূমপান ছাড়তে হবে। বাড়ির পরিবেশের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। দূষিত পরিবেশে বেশিক্ষণ থাকা একেবারেই ঠিক নয়।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফুসফুস সুস্থ রাখতে যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা ও পরিহার করা জরুরীঃ-
ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা: ফুসফুস সুস্থ রাখতে ধূমপানকে একেবারেই না করতে হবে। কেননা ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসার এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও গ্যাসের চুলা, ওভেন প্রভৃতি ব্যবহার করুন প্রস্তুতকারকের নিয়ম মেনে। কয়লা ও কেরোসিন থেকেও ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়। তাই নিজে ও অন্যকে এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা: ফুসফুসকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি স্বাভাবিক দেহের অধিকারী হতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার না থাকার ফলে হাতের মাধ্যমে করোনাভাইরাসসহ এমন অনেক জীবাণু ছড়ায়, যা ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। তাই নিয়মিত হাত থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে।
ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা: নিজেকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ঘর-বাড়ি অপরিষ্কার থাকলে অনেক ধুলাবালু ও ময়না-আবর্জনা জমতে থাকে এবং এই ধুলাময়লা, জীবাণু, এমনকি তেলাপোকার মলও যেখানে-সেখানে থাকেই যায়। ফলে ফুসফুসের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা: ফুসফুস ভালো রাখার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ব্যায়াম। তাই নিয়মিত পরিসরে দৌড়ঝাঁপ, জগিং, খেলাধুলা ইত্যাদি করে শরীরকে সচল ও ফুসফুসকে স্বাভাবিক রাখতে পারবেন।
আনন্দে থাকা: মন খুুলে হাসতে হবে। কারণ মন ভালো থাকলে ফুসফুসও ভালো থাকে। তাই ‘রামগরুড়ের ছানার মতো জীবন না করে মন খুলে হাসতে হবে এবং সবসময় নিজেকে আনন্দে রাখতে হবে।