।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ঘাতক ব্যাধি স্ট্রোক হলো মস্তিষ্কের রক্তনালীর একটি রোগ। এই রোগটিকে বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় মৃত্যুর কারণ হিসেবেও বলা হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এই রোগটিকে হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করে থাকি। তাই যদি কোনো ব্যক্তির স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়, আমরা অনেকে না বুঝেই হার্ট অ্যাটাক মনে করে আধুনিক চিকিৎসা পেতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা হৃদরোগ হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে থাকি। কিন্তু স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে যদি সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা না হয়, তাহলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতির হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জীবন সংশয়ও হতে পারে।
বাংলাদেশে প্রতি এক হাজারে প্রায় ১২ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় এবং মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ স্ট্রোকে মারা যায় বলে জানা গেছে। দিন দিন এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এবং গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার প্রায় ৮০ গুণ বেড়ে যাবে। তাই এ ঘাতক ব্যাধি রোগ থেকে বেঁচে থাকতে সচেতন থাকা খুবই জরুরী।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস), ঢাকা এর ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু এর পরামর্শ অনুযায়ী স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক দুটি একই রোগ নয়, সম্পন্ন ভিন্ন ধরণের রোগ এবং স্ট্রোক হলে ব্যক্তিকে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসাঃ-
স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবাও ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন- হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ হলে ইসিজি ও রক্তে ট্রোপোনিন-আই পরীক্ষা করা হয় এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে প্রথমেই সিটিস্ক্যান করতে হয়। এই রোগে আক্রন্ত রোগীকে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে আইভি থ্রোম্বলাইসিস করে সুস্থ করা হয়। কিন্তু কোনো কারণে সময় পার হয়ে গেলে ওষুধ ও রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা করা হয়।