।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
উলিপুরে কাজ না করে প্রকল্পের অর্থ তুলে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উলিপুরের সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পান্ডুল ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মালা রাণী। বিদ্যালয়টিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্লিপ প্রকল্পের ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মালা রাণী প্রকল্পের ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু কাজ না করায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা করেন। এরই মধ্যে রবিবার (২৯ অক্টোবর) গোড়াই পাঁচপীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে যান তিনি। বদলি হওয়ার পরদিন সোমবার (৩০ অক্টোবর) সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অবশিষ্ট ৮ হাজার ৭০০ টাকা তুলে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
একটি সূত্র জানায়, শুধু সিদ্ধান্ত মালতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, উলিপুরের একাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের ঘটনা অহরহ। এসব অনিয়মে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় অসাদু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক মালা রাণী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি ভুয়া ও ষড়যন্ত্র। প্রকল্পের কি কাজ করা হয়েছে এসব শিক্ষা অফিসে ডকুমেন্ট রয়েছে।
তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, প্রকল্পের টাকা তুলে কাজ না করা এটা বড় ধরণের অনিয়ম। এছাড়াও তিনি যদি বদলি হওয়ার পরদিন টাকা উত্তোলন করে থাকেন সেটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
//নিউজ//উলিপুর//মালেক/নভেম্বর/০৯/২৩