।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ সবুজ চায়ে একটুখানি মধু কিংবা খালিপেটে কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করার উপকারিতা কে না জানে। তবে বিশ্বজুড়ে নাম থাকা এই উপাদান মানুষের ত্বক সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে নানাবিধভাবে ব্যবহার হয় তা অনেকেরই হয়তো অজানা। আয়ুর্বেদমতে, যেকোনো একটি ফুলের মধুর চেয়ে বিভিন্ন ফুলের মধুর সমন্বয় বেশি কার্যকর। কারণ, তাতে উপকার পাওয়া যায় নানা ফুলের নানা উপকরণ থেকে। শতফুলি মধু যেমন রূপচর্চার জন্য অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাই শুধু রুক্ষতার সময়েই নয়, সারা বছর ত্বক সতেজ রাখতে মধু ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে মধু ব্যবহারের উপকারিতাঃ-
ব্রণ সারাতে উপকারী: মধু ত্বকে থাকা ব্রণ কিংবা ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মধুর উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে এবং প্রদাহ, ত্বকের লালচেভাব ও দাগ নিরাময় করতে সক্ষম। এছাড়া অন্যান্য উপাদান যেমন- মুলতানি মাটি, বেসন কিংবা উপটানের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকের ব্যবহার করতে পারেন। মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। সেক্ষেত্রে মধু ও দারুচিনির মিশ্রণটি ৮ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রণের সমস্যা কমবে, ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর করে থাকে এই মিশ্রণটি।
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: মুখের ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে মধুতে থাকা এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য অনেক কার্যকরী। এজন্য প্রথমে ভালো করে মুখ ধুয়ার পর মধু ও কাঁচা দুধের মিশ্রণ অথবা খালি মধু অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মেখে কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল হয়েছে কিনা ফলাফল বুঝতে পারবেন।
ব্রণের দাগ হালকা করে: ব্রণের দাগ হালকা করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করতেও বিশেষ উপাকার করে মধু। এ পর্যায়ে দাগযুক্ত স্থানে কিছুক্ষণের জন্য মধু মেখে রেখে দিতে হবে। তারপর মধু মাখা স্থানটি শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এধরণের দাগ দূর বা দাগ হালকা করতে নিয়মটি অনুসরণ করার কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পারবেন দাগ হালকা হয়ে এসেছে।
এছাড়াও ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে, ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে, বলিরেখা ও রোদে পোড়া দাগ দূর করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অতুলনীয় কার্যকারিতা রয়েছে মধুর।