।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ঋতু পরিবর্তনের পালাক্রমে শীতকালে অধিকাংশ মানুষেরই পায়ের পাতার চামড়া রুক্ষ হয়ে যায় এবং পায়ের গোড়ালি ধীরে ধীরে ফাটতে শুরু করে। দেহের বিভিন্ন অংশের ত্বকের মধ্যে তৈল গ্রন্থি থাকলেও পায়ের তালুতে তৈল গ্রন্থি না থাকার কারণে পা শুষ্ক থেকেই যায় এবং সেই সাথে অযত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, কখনও কখনও ত্বকের মাঝে জমতে থাকা আর্দ্রতার জন্য পায়ের ত্বক ফেটে যায়। সাধারণত কম বয়সে এই সমস্যা না দেখা গেলেও বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে যত্নের অভাবে গোড়ালি ফাটার সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। তবে একটু বাড়তি যত্ন ও সচেতনতা অবলম্বন করে পায়ের গোড়ালির সমস্যা দূর করে পায়ের ত্বককে কোমল ও সুন্দর রাখা সম্ভব।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শীতে পায়ের গোড়ালির যত্ন যেভাবে নিতে হবেঃ-
★ পায়ের ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা দরকার। কেননা এক্সফোলিয়েট করার ফলে পায়ের দাগছোপ, ট্যান ও মরা চামড়া শরীর থেকে উঠে যায় এবং পায়ের পাতার রক্ত সঞ্চালনের জন্য হিমালয়ান পিঙ্ক সল্টের সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল ও গোলাপের পানি মিশ্রণ করে ফুট স্ক্রাব বানিয়ে ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করা জরুরী।
★ শীতকালে বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরার সাথে সাথে বাথ সল্ট, লেবুর রস, গোলাপের পানি ইত্যাদি মেশানো গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে পায়ের চামড়া নরম, নখের কোণে জমে থাকা ময়লা ও নখের কিউটিকলগুলোও নরম করার পাশাপাশি পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
★ অত্যন্ত শুষ্ক ত্বক গোড়ালি ফাটার অন্যতম একটি প্রধান কারণ। তাই রাতে ঘুমোনো আগে পা পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
★ শীতকালে পায়ের ফাটা গোড়ালি সুরক্ষিত রাখতে জুতা ব্যবহার করতে হবে। কেননা ফাটা গোড়ালি ময়লা ও জীবাণুর সংস্পর্শে এলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
★ পায়ের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ঘি এর গুরুত্ব অনেক। ঘি মাখার ফলে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। তাই রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত পায়ের ত্বকে ঘি মাখার অভ্যাস গড়তে হবে।
★ পা কোমল ও সুন্দর রাখা সাথে সাথে পায়ের গোড়ালির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে একদিন পেডিকিউর করতে হবে। এছাড়াও কলার খোসা, কলার প্যাক ও মধু পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করে এবং পায়ের ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়।