।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
আপনি জানেন কী? দেশের নদ-নদী, পুকুর, খাল-বিল, হাওরে যেসব মাছ পাওয়া যায় তার মধ্যে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। মলা, ঢেলা, চান্দা, পুঁটি, টেংরা, কাচকি ও বাতাসি মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, ফসফরাস, প্রোটিন ও ভিটামিন ডি এ সমৃদ্ধ। যা চোখ ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে ছোট মাছ খাওয়া নিয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার বলেন, নিয়মিত ছোট মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। বিশেষ করে মাছের মুড়ো খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ ছোট মাছের মাথা অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা কিছু ফ্যাট চোখের জ্যোতি বাড়াতে পারে। শুধু তাই নয়, এইসব মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। এই ভিটামিন চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকী এতে থাকা প্রোটিন চোখের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এ কারণে চোখের যত্নে প্রতিদিন ছোট মাছ খেতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত ছোট মাছ খেলে আরও অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোট মাছ খেলে অন্যান্য যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়ঃ-
হার্ট ভালো রাখে: হার্ট ভালো রাখতে নিয়মিত ছোট মাছ খাওয়া জরুরী। কারণ ছোট মাছে রয়েছে ডোকোসাহেক্সায়েনোইক অ্যাসিড (ডিএইচএ) এবং ইকোসাপেন্টাইনয়িক অ্যাসিড (ইপিএ) যা বড়দের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
প্রোটিনে সাহায্য করে: প্রোটিনের ঘাটতি রোধ করতে বেশি বেশি করে ছোট মাছ খাওয়া প্রয়োজন। কেননা ছোট মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা ইমিউনিটি থেকে শুরু করে পেশির জোর বাড়া এবং একাধিক রোগব্যাধি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।
হাড়ের সমস্যা দূর করে: নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ছোট মাছ রাখলে হাড়ের সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। কারণ এই মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা হাড়ের শক্তি বাড়ায় এবং হাড়কে মজবুত করতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ছোট মাছের বিকল্প নেই। ছোট মাছের মাথায় থাকা অত্যন্ত উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শৈশব থেকে ছোট মাছের মাথা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: রক্তস্বল্পতা দূর করতে ছোট মাছের মধ্যে বিশেষ করে টেংরা মাছ খাওয়া বেশ উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী টেংরা মাছে প্রায় ৩২ মিলিগ্রাম আয়রণ, ১৮.৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস থাকে। নারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে ও কাশির সমস্যা যেমন কফ কমানোর জন্য টেংরা মাছ অনেক উপকার করে।
এছাড়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং ছোট মাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন কোষ মেরামত, পেশি তৈরি করতে ও ভালো রাখতে সাহায্য করে। তবে ছোট মাছে মজুত থাকা পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে পেতে রান্নায় বেশি তেল বা মসলা যোগ করতে না বলেছেন পুষ্টিবিদরা।