।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
পানি কম অজুহাতে চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে সদ্য যুক্ত করা ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল চিলমারী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বললেও স্থানীয়রা বলছে পালিয়ে গেছে বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিটি। বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি কুঞ্জলতা। কুঞ্জলতাও যেতে পারে এমন ধারণা করছেন স্থানীয়রা। একটিকে সরিয়ে নেয়ার সাথে অপরটির চলাচল বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী চালক ও সহকারীরা। লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। এদিকে ড্রেজিং-এর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, মন্তব্য করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে ফেরি কুঞ্জলতা দিয়ে সার্ভিস চালু করায় ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায় এই রুটে। চাহিদার কারণে ১ অক্টোবর (রবিবার) চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে যুক্ত করা হয় ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল। যুক্ত হওয়ায় চাহিদার সাথে রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটে। এলাকায় বিরাজ করে আনন্দ। সেই আনন্দ আর ব্যবসার প্রসার বন্ধ করতেই অজ্ঞাত কারণে রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পরীক্ষামূলক চালানোর কথা বলে বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিটিকে চিলমারী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ছক্কু মিয়া ও আমিনুলসহ স্থানীয়রা বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাতেই রবিবার সকালে ফেরিটি ছেড়ে দেয়। এসময় অপেক্ষাকৃত পণ্যবাহী চালকরা ফেরিটি আটকানোর চেষ্টা করলে ফেরি চালকরা বলে পরীক্ষা করে দেখি নাব্যতার কি অবস্থা, এই কথা বলে তারা ফেরিটি নিয়ে এক প্রকার পালিয়ে যায়। এদিকে নাব্যতা সংকট দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি কুঞ্জলতা। একটি ফেরি সরিয়ে নেয়া অপরটির চলাচল বন্ধ রাখায় গত দু’দিন থেকে ফেরিতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালকরা। এদিকে ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে এবং সাথে গুনছেন লোকসান।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ফেরি চালু করে বিভিন্ন অজুহাতে বন্ধ রাখার সাথে একটি সরিয়ে নেয়ার ফলে একদিকে পণ্যবাহী গাড়ি গুলো পড়ে থাকছে। সাথে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, মহাসমারোহে উদ্বোধন করা হলো, বলা হলো এবং দেয়া হলো বড় বড় আশ্বাস আর এখন সেই আশায় যেন দেয়া হচ্ছে গুড়ে বালি।
পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ঠিক মতো ড্রেজিং না হওয়ায় ফেরি দুটির চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিটি পূর্বের স্থানে আরিচায় পাঠানো হয়েছে এবং কুঞ্জলতা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে, সমস্যা সমাধান হলে আবারও চালু করা হবে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/অক্টোবর/২৯/২৩