।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ঘুমের ভঙ্গি, টেনশন বা স্ট্রেস, দীর্ঘক্ষণ মাথা ঝুঁকিয়ে থাকা, মাত্রাতিরিক্ত কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে গেম খেলা, চ্যাটিং করা ও আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে থাকা কিংবা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরের অঙ্গ-ভঙ্গির সঠিক না থাকার কারণে ঘাড়ে ব্যথা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ভারী স্কুলব্যাগ বহন কিংবা অধিক আঘাত প্রাপ্তের (মাকুলোস্কেলিটাল) ফলে শিশুসহ কম বয়সীরাও এ ব্যথায় ভুগে থাকেন। তবে ধারণা করা হয়, চল্লিশ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
ঘাড়ে ব্যথা স্থায়ী আকার ধারণ করলে ক্রমান্বয়ে এ ব্যথা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে এসব অঙ্গে অস্বাভাবিক অনুভূতি প্রকাশ এমনকি অবশভাব পর্যন্ত হতে পারে। ঘাড়ে ব্যথার কারণে অনেক সময় প্রস্রাব ও পায়খানার নিয়ন্ত্রণ থাকে না এবং রাতে সঠিকভাবে ঘুমাতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘাড় ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদণ্ডের ক্ষয় রোগ হলো স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদন্ডের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। আমাদের মেরুদণ্ড গঠিত হয় হাড়, মাংসপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।
সচেতনতা থাকা জরুরী
★ ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার আগে সচেতন থাকাটা খুবই জরুরী। নিয়মিত ঘাড়ের যত্ন এবং ঘাড়ের ব্যায়াম করা শ্রেয়।
★ দীর্ঘ সময় ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে কোনো কিছু দেখা যাবে না কিংবা কাজ করা যাবে না।
★ ঘাড়ে বা মাথায় ভারী জিনিস নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
★ শক্ত বিছানায় ঘুমানো, নরম বিছানার পরিবর্তে শক্ত বিছানায় ও নিচু বালিশ ব্যবহার করে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
★ গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় অনেকেই গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। যা খুবই খারাপ অভ্যাস। তাই গাড়িতে ঘুম এলে অবশ্যই ঘাড়ে সার্ভাইক্যাল কলার পরে থাকতে হবে।
ঘাড়ে ব্যথা হলে চিকিৎসা
ঘাড়ে ব্যথা হলে প্রথমেই চিকিৎসা হিসেবে কলার পরা, ব্যথানাশক ওষুধ ও পেশি শিথিলায়ক ওষুধ খেতে হবে এবং সেই সাথে ফিজিওথেরাপি নিতে হবে। যদি কোনো ওষুধে ঘাড় ব্যথা আরাম না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে এসিডিএফ নামে ঘাড়ের অস্ত্রোপচার করে ঘাড় ব্যথা রোধ করতে হবে। এসিডিএফ চিকিৎসার ফলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। ঘাড়ে ব্যথা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ নিয়ে ঘাড় ব্যথা দূর করাটা জরুরী।