।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও দিন দিন সবজির দামে গরম হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। সেই গরমে ঘামছে ক্রেতারা। জীবনধারণের উপযোগী প্রতিটি জিনিসের অগ্নিমূল্য হওয়ায় চিলমারীর সাধারণ মানুষের নীরব কান্নায় চোখ ভিজছে। অভাব ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে জনজীবন দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। সিন্ডিকেটের কারণে আজ বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে বলে দাবি সচেতনমহলের। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
জানা গেছে, চিলমারীর হাট-বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করলেও কমার পরিবর্তে বেড়েই চলছে সবজির দাম। যেন গরম হয়ে উঠছে কাঁচাবাজার। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। সবজি কেনা এখন দুরূহ ব্যাপার। তাই ডাল আর ডিমের ওপরই ভরসা প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর। চিলমারীতে অনেক আগে থেকেই সবজির বাজার গরম রয়েছে বন্যার পর মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যা এখন লাগামের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিকে দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি সবজির কেজি প্রতি দুই থেকে চার গুণ দামে কিনতে হচ্ছে মানুষকে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার হাট-বাজার গুলো ঘুরে দেখা গেলে, বেগুন কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ১শত, এলসি ৭৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ২শত টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, সিম ১শত ৫০ টাকা। এছাড়াও লাউ ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজির দাম গত ১ মাসে দ্বিগুন হয়ে উঠেছে। বাজারে প্রাণিজ আমিষ মাছ, মাংস ও ডিমের দাম আগে থেকেই বেশি। উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপণ্যের দাম।
কাঁচাবাজারের ক্রেতা কুষ্টারী এলাকার ওয়াজেদ আলী পেশায় ছোট ব্যবসায়ী তিনি বলেন, ৫শত টাকা নিয়ে কাঁচাবাজারে এসে পড়েছি মহাবিপাকে। এমনকি বাজার করতে এসে চড়া মূল্যের কারণে ধরে রাখতে পারেননি চোখের পানি।
দামের কারণে ঠিকমতো খেতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে আবুল হোসেন বলেন, মুলার যদি কেজি ৬০/৭০ টাকা হয় তাহলে বাকি গুলো কোথায় উঠবে।
বাজারে কোন লাগান নেই, নেই তদারকি জানিয়ে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজারে মনিটরিং না থাকায় কিছু ব্যবসায়ীরা সেন্ডিকেট তৈরি করে বাজার গরম করে রেখেছেন। কৃষকরা স্বল্পমূল্যে সবজি বিক্রি করছে আর ব্যবসায়ীরা কৌশলে সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের হয়রানি করছে মন্তব্য করেন সচেতনমহল। কাঁচাবাজারের গরম সাথে ব্যবসায়ীদের সেন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/অক্টোবর/২৫/২৩