।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকে সস ব্যবহার করে। বিভিন্ন ধরণের চপ, সিঙ্গারা, সমুচা, পেঁয়াজু, এমনকি খাবার নুডলসেও সসের ব্যবহার যেন থেকেই যায়। বাজারে বিভিন্ন মানের লাল, সাদা ও সয়া সস পাওয়া যায়, যা ছাড়া মুখরোচক খাবার মুখেই তুলতে চান না অনেকেই। সস সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সসকে সংরক্ষণ করে রাখে। কিন্তু জানেন কী? এসকল সসে কী ধরণের উপাদান থাকে এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য তা কতটা ক্ষতিকর বা উপকারী। নিয়মিত খাবারে সস মানুষের শরীরে অজান্তেই রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাজার চলতি প্যাকেটজাত টমেটো সসে কোনওরকমের ফাইবার কিংবা প্রোটিন নেই। এতে নেই কোনও উপকারিতাও। শুধুমাত্রই খাবারের স্বাদ বাড়ায় টমেটো সস। এতে প্রচুর পরিমাণে নুন, চিনি, ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ এবং প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপাদানই আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে। অত্যধিক পরিমাণে টমেটো সস খেলে ওবেসিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটো সসে থাকা উচ্চ পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর ওবেসিটির কারণে পরবর্তীকালে ঝুঁকি বেড়ে যায় মধুমেহ, ক্যানসার, কিডনির মতো সমস্যা হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সসের ক্ষতিকর দিকঃ-
★ সসকে দীর্ঘ মেয়াদি করতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সংরক্ষণ করে রাখে। এই রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারকৃত সস শরীরের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ।
★ সসের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে শর্করা থাকে। যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন বৃদ্ধি করে থাকে।
★ সসে ব্যবহার করা মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার বড় কারণ হতে পারে।
★ বেশি পরিমাণে খনিজ লবণ যুক্ত সস খেলে উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ হতে পারে।
★ লাল সস খাওয়ার ফলে বুকে জ্বালাপোড়া করে। কেননা লাল সসে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যাসিড থাকে।
★ সস খাওয়ার কারণে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শরীরে অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।