।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কিডনিতে পাথর হওয়া যেন মানুষের কাছে একটি গুরুতর সমস্যা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার ফলে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। কিডনিতে পাথর তৈরির প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। নিয়মিত শরীর থেকে পানি (ডিহাইড্রেশন) কমে যেতে থাকলে প্রস্রাবের দ্রব অত্যাধিক ঘন হয়। ফলে শরীরে পাথরের কণা বা ক্রিস্টাল তৈরি হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে কিডনিতে পাথর (রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস) দেখা দেয়। ধারণা করা হয়, বিশ্বে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন কিডনিতে পাথর রোগে ভোগেন এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায় ১১ শতাংশ পুরুষ ও ৯ শতাংশ নারীর মধ্যে।
ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আশিস মিত্র বলেন, অনেক কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। পানি কম করে পান করলে শরীর থেকে খনিজ বের হতে পারে না। এ কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। অনেক সময় শরীরে ইউরিক এসিড বেশি থাকে। ইউরিক এসিড শুধু পায়ে ব্যথার কারণ না, এর পাশাপাশি কিডনিতে জমতে পারে এই এসিড দায়ী। এর ফলে পাথর হতে পারে। অনেকের শরীরে ফসফরাস, ক্যালসিয়ামসহ নানা খনিজের বিপাকে সমস্যা হয়। সেই পরিস্থিতিতে জমতে পারে কিডনিতে পাথর। আসলে কিডনিতে পাথর হওয়ার নির্দিষ্ট বা একক কারণ নেই। যদিও বিভিন্ন কারণ আপনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণগুলিঃ-
★ প্রচণ্ড আকারে পিঠের মধ্যে ব্যথা হওয়া।
★ লাল প্রস্রাব বা প্রস্রাবে হালকা রক্ত।
★ কিডনিতে পাথর হলে বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া।
★ জ্বর হওয়া।
★ পাথর মূত্রনালি বা ইউরেটারে আটকে গেলে কিডনি ফুলে যায়।
★ শরীরে ঠান্ডা লাগা
★ প্রসাব করার সময় দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব বেড় হওয়া।
চিকিৎসাঃ-
কিডনিতে পাথর ছোট-বড় আকৃতির হতে পারে। কিডনিতে পাথর যদি ৪ মিলিমিটার বা ছোট পাথর হয় তাহলে বেশি বেশি পানি পান করার মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ছোট পাথরগুলো বের হতে পারে না বা সেগুলোর আকারে বড় হতে থাকে। এসব বড় পাথর ওষুধের দ্বারা ভেঙে গলিয়ে দিয়ে বার করতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপারেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে কিডনির পাথর অপসারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি (গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড) হলো পিসিএনএল। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ছোট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে পিঠের দিক দিয়ে যেকোনো আকার ও প্রকৃতির পাথর ভেঙে ১০০ শতাংশ বের করা যায়।