।। উপজেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও পুরাতনটি বিকল, আর নতুনটি মাসের পর মাস রয়েছে প্যাকেট বন্দি। বিভিন্ন অজুহাত সাথে টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত চিলমারী বাসী। আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফি না থাকায় সেবা থেকেও বঞ্চিত মানুষজন। নেই কোন উদ্যোগ। রয়েছে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। পুরাতন এক্স-রে মেশিন মেতামতের অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট। উদ্যোগ গ্রহণ ও পদক্ষেপ না নেয়ায় আগত রোগীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
জানা গেছে, চিলমারীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দীর্ঘদিন থেকে নানা রোগে নিজেই আক্রান্ত হয়ে নুয়ে পড়েছে। ফলে সেবা নিতে আসা মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। সূত্র মতে উপজেলাবাসীর সেবার জন্য ২০০৭ সালে একটি উন্নত মানের এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। মেশিনটি স্থাপন করার পর একজন টেকনিশিয়ানও যোগদান করেন। কিন্তু নানান জটিলতার সাথে অজ্ঞাত কারণে চালু করা হয়নি এক্স-রে মেশিন। চালু করা না হলেও উক্ত মেশিনটি মেরামতের নামে বিভিন্ন সময় লক্ষ লক্ষ টাকা দেখানো হয় কিন্তু এরপরেও চালু হয়নি এক্স-রে মেশিনটি। মেরামতের নামে টাকা দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে লোপাট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেবা থেকে বঞ্চিত থেকেই যায় চিলমারীবাসী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়ে প্রতিদিন পুরুষ, মহিলা ও শিশু গড়ে শতভাগ রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়। এছাড়াও জরুরী বিভাগ ও আউটডোরে চিকিৎসা নেয় প্রায় ২শত থেকে ৩শত রোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিলমারী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উলিপুরের বজড়া, তবকপুর, সুন্দরগঞ্জ, কাশিমবাজার, মন্ডলেরহাট ও কারেন বাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীর আগমন ঘটে। এতে করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির রোগী বাড়লেও এক্স-রে মেশিনের সেবার অভাবে রোগীদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে চড়ামূল্যে এক্স-রে করতে হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে রোগীদের ভোগান্তি অভাবনীয় পর্যায়ে পৌঁছালেও দেখার কেউ নেই। এখানে নিয়োজিত এক্স-রে ম্যান টেকনিশিয়ান মোঃ সুলতান মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে অবশেষে কাজের সন্ধানে বদলি হয়ে গেছেন অন্যত্র। পূর্বের এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় আবারও নতুন করে গত কয়েক মাস আগে আরও একটি এক্স-রে মেশিন চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে সেটিও প্যাকেট বন্দি হয়ে পড়ে আছে। কবে চালু হবে সেটিও জানেন না কর্তৃপক্ষ। একদিকে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফি পদটি শূন্য থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিলমারীসহ বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর উদাসীনতার কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই সাথে সেবা নিতে আসা আগত রোগীদের ভোগান্তি বেড়েই চলছে বলে জানান আগত রোগীরা।
সেবা নিতে আসা মোনোয়ারা বলেন, এক্স-রে মেশিন আছে কিন্তু সেবা পাচ্ছিনা বাইরে থেকে পরীক্ষা করতে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের মেশিন চালু হলে ডাক্তারের কমিশন কমবে মন্তব্য করে আমিনুল ইসলাম বলেন, সব সিন্ডিকেট ভাই, তাই তো দামি দামি মেশিন আসলেও চালু হয়না।
কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন, টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছেনা। এছাড়াও শূন্য রয়েছে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেডিওগ্রাফি পদটি, আমি এ বিষয়ে লেখেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা, তবে চেষ্টা করছি দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য।
//নিউজ/চিলমারী//সোহেল/অক্টোবর/২৩/২৩